কিছু সরকারি পদে নিয়োগের জন্য মহাকরণে ফর্ম জমা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গিয়েও আবেদনপত্র জমা দিতে না-পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক দল আবেদনকারী। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ফর্ম জমা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওই কর্মপ্রার্থীদের অভিযোগ, বুধবার তাঁরা মহাকরণে ফর্ম জমা দিতে যান। কিন্তু ফর্ম জমা নেওয়ার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত খোলা হচ্ছে কলকাতা, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। বিচার বিভাগের অধীনে সেখানে চুক্তির ভিত্তিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৪ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। কিছু প্রার্থীর অভিযোগ ওই সব পদে ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই। রাজ্যের আইন ও বিচার মন্ত্রী মলয় ঘটক অবশ্য জানান, ফর্ম জমা নেওয়ার সময়সীমা-সহ সব কিছুই বিজ্ঞাপনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আবেদনকারীরা জানান, রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘বাংলার মুখ’-এ গত ২৯ অগস্ট সন্ধ্যায় আইন ও বিচার দফতরের পক্ষ থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের দাবি, চাকরির ফর্ম ‘আপলোড’ করা হয় ৩০ অগস্ট সকালে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে মহাকরণে আইন ও বিচার সচিবের ঘরের সামনে থাকা নির্দিষ্ট বাক্সে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। ওই বিজ্ঞাপন অন্য কোনও সংবাদপত্র বা চাকরি সংক্রান্ত পত্রিকায় দেওয়া হয়নি বলে আবেদনকারীদের অভিযোগ। বুধবার হাজারখানেক আবেদনকারী মহাকরণে চাকরির ফর্ম জমা দিতে যান। অধিকাংশের অভিযোগ, মহাকরণে তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। পুলিশ তাঁদের বলে, আবেদনপত্র জমা নেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ (৪ সেপ্টেম্বর) পেরিয়ে গিয়েছে। এমনকী আইন ও বিচার বিভাগের কোনও অফিসারের সঙ্গেও আবেদনকারীদের প্রতিনিধিদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আবেদনকারীরা পুলিশকে জানান, ১ এবং ২ সেপ্টেম্বর (শনি, রবিবার) মহাকরণ বন্ধ ছিল। ওই দু’দিন কোনও ফর্ম জমা নেওয়া হয়নি। ফর্ম জমা নেওয়ার মেয়াদও বাড়ানো হয়নি। নিয়োগের ওই বিজ্ঞাপন কোনও সংবাদপত্র বা চাকরি সংক্রান্ত পত্রিকায় দেওয়া হয়নি বলে প্রার্থীরা যে-অভিযোগ করেছেন, আইন ও বিচার মন্ত্রী মলয়বাবু তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কেবল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেই ওই সব পদে নিয়োগ করা হবে। সরকারি ওয়েবসাইট এবং চাকরির খোঁজখবর সংক্রান্ত একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে আর ১ এবং ২ সেপ্টেম্বরকেও সাত দিনের মধ্যে ধরতে হবে।” |