টুকরো খবর
বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরালেন রেলকর্মীরা
ছেলের সঙ্গে বেরিয়ে একা হয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধাকে ছেলের কাছেই ফিরিয়ে দিলেন রেলকর্মীরা। বুধবার পুরুলিয়া স্টেশনের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ পুরুলিয়া স্টেশনে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে একা কান্নাকাটি করতে দেখেন রেলকর্মীরা। পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজার শ্যামাপ্রসাদ মজুমদার বলেন, “ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে কর্মীরা জানতে পারেন তাঁর নাম শেফালি দেব। তিনি আদ্রার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী রেলেরই প্রাক্তন কর্মী। বর্তমানে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ছেলের সঙ্গে আদ্রা থেকে অবসর ভাতা তোলার জন্য এসেছিলেন। তিনি প্ল্যাটফর্মে নামলেও ছেলেকে দেখতে পাননি। ছেলের কোনও মোবাইল নম্বরও দিতে পারেননি।” স্টেশন ম্যানেজার জানান, ওই বৃদ্ধার বাড়ির ঠিকানা জেনে তাঁর বাড়িতে আদ্রা থেকে রেলকর্মীদের পাঠিয়ে ছেলের নম্বর জোগাড় করে খবর পাঠানো হয়। উনি আসানসোল-টাটানগর ট্রেনে পুরুলিয়া স্টেশনে নেমেছিলেন। ওঁর ছেলে ওই ট্রেনেই থাকতে পারেন আন্দাজ করে পুরুলিয়ার পরের স্টেশনগুলিতে ছেলের নাম ঘোষণা করার ব্যবস্থাও করা হয়। বেশ কিছু ক্ষণ ছেলে ফিরে এসে মাকে নিয়ে যান। শেফালিদেবীর ছেলে রবি দেব বলেন, “ট্রেনে ভিড় থাকায় মাকে মহিলা কামরায় তুলে দিয়েছিলাম। আমি পাশের কামরায় ছিলাম। পুরুলিয়া স্টেশন পার হওয়ার সময় আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙলে দুই স্টেশন পরে কাঁটাডিতে নেমে বাসে পুরুলিয়া পৌঁছই। মা আমাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছিলেন। আসলে মা একা কখনও বেরোননি। রেলকর্মীদের অনেক ধন্যবাদ।” চুরি। তালা ভেঙে চুরি গেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চাল, ডাল ও বাসনপত্র। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজনগর থানা এলাকার গাংমুড়ি-জয়পুর অঞ্চলের রানিগ্রাম অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে। এর জন্য বুধবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হয়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

সংস্কারের দাবি, অবরোধ
পঞ্চায়েতে তালা। নিজস্ব চিত্র।
গ্রামের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন পুরুলিয়া ২ ব্লকের গোলামারা গ্রামের বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে বুধবার স্থানীয় গোলামারা পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফতুকডি রোড থেকে গোলামারা পঞ্চায়েত অফিস পযর্ন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষত বর্ষায় রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত কারাপ হয়ে পড়েছে। একে কাঁচা রাস্তা, তার উপর বড় বড় গর্ত। ফলে প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা আমাদের এই দুর্দশার ছবি দেখতে পান না। তাই আমরা এ দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েও অবরোধে সামিল হয়েছি। পরে তাঁরা অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা সমীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাটার অবস্থা এতদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” গালামারা পঞ্চায়েতের প্রধান যাদব রাজোয়াড় বলেন, “এই রাস্তা সংস্কার নিয়ে আমার সঙ্গে বিডিওর কথা হয়েছে। তিনি আমাকে এই রাস্তার জন্য সম্ভাব্য ব্যয় বা ‘এস্টিমেট’ তৈরি করতে বলেছেন। পুরুলিয়া ২ বিডিও অনাদি মাহাতো বলেন, “আমি প্রধানকে দ্রুত ওই রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করতে বলেছি।”

ধৃত ব্যবসায়ী
বেআইনিভাবে পোস্তর খোল মজুত এবং পেষাই করার অভিযোগে এক ধানকল মালিককে গ্রেফতার করল সিমলাপাল থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অনন্ত মাসান্ত। সিমলাপালের বাদাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর ধানকলে ৮৪ কেজি পোস্তর খোল আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “সিমলাপালের ওই ধানকলে বেআইনি মাদক জাতীয় কিছু মজুত করা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর ছিল। তারই ভিত্তিতে সেখানে হানা দিয়ে পোস্তর খোল উদ্ধার করা হয় ও ওই ধানকল মালিককে ধরা হয়েছে। খাতড়া আদালতে বুধবার তাকে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়।

দুর্ঘটনায় জখম
লরি ও পিক-আপ ভ্যানের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে, পুরুলিয়া মফস্সল থানার ডুমুরডি মোড়ের অদূরে। পুলিশ জানিয়েছে, রঘুনাথপুরের দিক থেকে একটি লরি পুরুলিয়ার দিকে আসছিল। পুরুলিয়ামুখী একটি পিক-আপ ভ্যান লরিটিকে ওভারটেক করার সময় ভ্যানটির চাকা ফেটে গেলে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পিক-আপ ভ্যানটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। ওই গাড়ির চালককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পোস্তর খোল
ধানকলে ধানে নয়, ছিল ৮৪ কেজি পোস্তর খোল। ওই নিষিদ্ধ জিনিস রাখার অভিযোগে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সিমলাপালের এক ধানকল মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.