এক তরুণীকে অপহরণ করে সুদূর উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে পাচারের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাত্রসায়রের ঘটনা। ‘অপহৃত’ যুবতী অবশ্য এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম শেখ আলমগীর, শেখ খোকন ও শেখ জিয়ারুল ওরফে আপেল। আলমগীর ও খোকনের বাড়ি ইন্দাস থানার খাটরা-গোপালপুর গ্রামে। শেখ জিয়ারুল বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা। ‘অপহৃত’ ১৮ বছরের ওই তরুণীর বাড়ি পাত্রসায়র থানা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে হুগলির আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি লজ থেকে ওই তিন পাচারকারীকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “পাত্রসায়রের এক তরুণীকে অপহরণ করে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ এলাকায় বিক্রি করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তাদের জেরা করে অপহৃত যুবতীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ অগস্ট বাঁকুড়া শহরে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেদিন থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরের দিন পাত্রসায়র থানায় ওই তরুণীর দাদা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তিনি পুলিশের কাছে জানান, গত শনিবার ওই তরুণী বাড়িতে ফোনে জানান, আলমগীর ও খোকন তাঁকে মোরাদাবাদের একটি কলোনিতে বিক্রি করে দিয়ে গিয়েছে। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সেই ফোনের সূত্র ধরেই পাত্রসায়র থানার ওসি মানবেন্দ্রনাথ পাল মঙ্গলবার আরামবাগ থানার পুলিশের সহযোগিতায় ওই তিনজনকে ধরেন। মঙ্গলবার রাতেই ‘অপহৃত’ তরুণীর দাদা পুলিশের কাছে তাঁর বোনকে অপহরণ করে টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে বলে ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীর দাদার দাবি, চোখ দেখানোর জন্য বেশ কয়েকবার বোন বাঁকুড়া শহরে গিয়েছে। সেদিন ও একাই বাঁকুড়ায় যায়। তাঁর অভিযোগ, “কোনও প্রলোভন দেখিয়ে বোনকে ওরা অপহরণ করে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে।”
বুধবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ৮ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ‘অপহৃত’ তরুণীকে উদ্ধারের জন্য পাত্রসায়র থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একটি দল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে যাচ্ছে। |