বৃষ্টিতে মাটির বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মিনাখাঁর মোহনপুর গ্রামের ঘটনা। বুধবার ভোরে নিজের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন রূপা সর্দার (৪৬)। মাটির বাড়িটি ভেঙে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিকে, গত দু’দিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে সুন্দরবন এলাকার নদীর একাধিক জায়গায় বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনও জায়গায় নদী-বাঁধ বসে গিয়েছে। কোথাও আবার বাঁধের তলার ফাটল দিয়ে এবং স্লুইসগেট ভেঙে জল ঢুকে পড়ছে চাষের জমিতে। কিছু জায়গায় মাটির বাড়ি, গাছ ভেঙে পড়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। মহকুমা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে একটানা বৃষ্টিতে সুন্দরবন এলাকার নদীগুলিতে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সন্দেশখালির পুঁটিমারি গ্রামে প্রায় দেড়শো ফুটের নদী-বাঁধ বসে গিয়েছে। কালীনগর মসজিদবাড়ির কাছে বেতনি নদীর কয়েকশো ফুট উচু বাঁধ বসে গিয়েছে। দুর্গামণ্ডপ, ঝুপখালি, আতাপুর এবং খুলনা পঞ্চায়েতের গোরামারি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের নদী-বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সন্দেশখালি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুনীল পড়ায়া বলেন, “এলাকায় বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বহু জায়গায় মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেড়ির জল ছাপিয়ে মাছ বেরিয়ে গিয়েছে।” হিঙ্গলগঞ্জের হলদা গ্রামে স্লুইসগেটের দরজা ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। কালীতলা পঞ্চায়েতের হরিদাসমাটি গ্রামে বাঁধে ধস নেমেছে। পারঘুমটি গ্রামে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ এবং হাড়োয়ার বেশ কিছু এলাকায় জল জমে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে।
বসিরহাটের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া, মহামায়া কলোনি, দিঘি রোড, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া জলমগ্ন। সাঁইপালা, শিকারি বাগান এবং ৩ নম্বর কলোনির সর্দারহাটিতে একটা অংশে মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ দিকে, নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় মিনাখাঁ ব্লকের আমোদপুর, চৈতল-১, ২, ৩ গ্রামে জল জমে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। |