পরিকল্পনা ছিল একটা বড়সড় ‘অপারেশনের’। ঘাটতি ছিল না আয়োজনেও। গাড়ি, দক্ষ চালক থেকে শুরু করে নাইন এম এম পিস্তল, দু’টো রিভলভার, একটি মাসকেট, ভোজালি ও ১৩ রাউন্ড গুলিও মজুত ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশের জালে ধরা পড়ে মাঠে মারা গেল সব পরিকল্পনা। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে করিমপুর অরবিন্দপল্লি এলাকা থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ মোট নয়জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে গাড়িটিকেও। ধৃতরা সকলেই থানারপাড়া ও মুরুটিয়া এলাকার বাসিন্দা। বুধবার ধৃতদের তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “সম্প্রতি তেহট্ট মহকুমা জুড়ে গোটা তিনেক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ধৃতেরা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ এদের খোঁজে তল্লাশিও চালাচ্ছিল। এদিন রাতেও ওই দুষ্কৃতীরা ডাকাতি করতেই বেরিয়েছিল। পুলিশ ওদের গ্রেফতার করে।” |
জেলা পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে থানারপাড়া, মুরুটিয়া ও মুর্শিদাবাদের নওদা থানাতে একাধিক চুরি, ডাকাতির অভিযোগ আছে। ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার খবর পেয়েই করিমপুর থানায় চলে আসেন তেহট্টের আই সি এবং থানারপাড়া ও মুরুটিয়া থানার ওসি। সম্প্রতি মহকুমার বেশ কয়েকটি জায়গায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছিল পুলিশ প্রশাসন।
তবে মঙ্গলবার রাতে এক সঙ্গে ওই নয়জন দুষ্কৃতীকে ধরার পরে কিছুটা হলেও সেই অস্বস্তি কেটেছে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশের একাংশ। পুলিশের এই তৎপরতার প্রশংসা করেছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপারও।
কী ভাবে ভেস্তে দেওয়া গেল দুষ্কৃতীদের ছক? পুলিশ জানিয়েছে, ওদের ছক ভাঙতে পুলিশও একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল। সম্প্রতি কিছু চুরি ডাকাতির পর এমনিতেই তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। ফলে মঙ্গলবার সোর্স মারফত খবর আসতেই আর দেরি করেনি তারা। দুষ্কৃতীদের যাওয়ার রুট, গাড়ির রং ও নম্বর নিশ্চিত হওয়ার পরেই বেশ কয়েকটি জায়গায় মোতায়েন করা হয় সাদা পোশাকের পুলিশ। তারপর থানারপাড়ার দিক থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গাড়িটা আসতেই তা আটকে দেওয়া হয়। |