টুকরো খবর |
খুঁটি বসলেও আসেনি বিদ্যুৎ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বছর দু’য়েক আগে কয়েকটি খুঁটি বসিয়েই কাজ শেষ। আজও বিদ্যুৎ সংযোগ এল না এগরা ২ ব্লকের দুবদা পঞ্চায়েতের শাঁকাপাদা, গ্রামরাজ ও গিরিপাদা গ্রামে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলনের পরে খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। মাঝপথেই থেমে গিয়েছে সেই কাজ। স্থানীয় দুবদা তফসিলি বিদ্যুৎ উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক হৃদয়কুমার বাগ বলেন, “এই তিন গ্রাম মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার মানুষের বাস। বেশিরভাগই তফসিলি জাতি ও বিপিএল তালিকাভুক্ত। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এই এলাকায় আগে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও খুঁটি বসানোর কাজই শেষ হয়নি।” স্থানীয় প্রধান দিলীপ কর, জেলা পরিষদের সদস্য শ্রীমন্ত জানা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায় চৌধুরীদের অভিযোগ, “প্রায় দশ বছর ধরে গ্রামবাসীরা আবেদন, আন্দোলন করেও আশ্বাসের বেশি কিছুই পাননি। দু’বছর আগে কয়েকটি খুঁটি বসেছে শুধু।” জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় বলেন, “বিদ্যুদয়নের জন্য বরাত পাওয়ায় ঠিকাদার সংস্থাটি কিছুটা কাজ করে ফেলে রেখেছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ না হলে বরাত বাতিল করে নতুন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
|
দাদাকে কুপিয়ে থানায় ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সহোদর দাদাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে এক যুবক থানায় আত্মসমর্পণ করলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামের ধাদকিডাঙা গ্রামে পারিবারিক বচসা চলাকালীন পেশায় দিনমজুর লুলকু নায়েককে (২৮) কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে মারেন তাঁর ভাই, লালু নায়েক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লুলকুর স্ত্রী’র সঙ্গে এক পড়শি যুবকের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন লালু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাদার কাছে বউদির বিরুদ্ধে নালিশ করতে যান লালু। ভাইয়ের মুখে স্ত্রী’র অপবাদ সহ্য করতে পারেননি লুলকু। বচসা চলাকালীন লালুকে চড় মারেন লুলকু। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এরপরই রাগের চোটে কুড়ুল দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করেন লালু। ঘটনাস্থলেই লুলকুর মৃত্যু হয়। পালিয়ে যান লালু। পরদিন, বুধবার ঝাড়গ্রাম থানায় নিজেই এসে ঘটনার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অবশ্য। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার লালুকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।
|
বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত বধূ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
একটানা বৃষ্টির জেরে বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল এক বধূর। বুধবার সকালে খেজুরি থানার চোদ্দোচুল্লি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জখম হয়েছেন ওই পরিবারের আরও চার জন। নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার রাত থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। দিনভর বৃষ্টিতে উপকূলবর্তী কাঁথি মহকুমায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার সকালে চোদ্দোচুল্লি গ্রামে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়লে, তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দ্রৌপদী দাস (৫০) নামে এক মহিলার। তাঁর স্বামী পরেশ দাস-সহ চার জন আহত হয়েছেন। অন্য দিকে খেজুরি থানারই পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে অশোক প্রামাণিক (২৭) নামে এক যুবকের। এ দিন সকালে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির পাশে জলাজমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন অশোক। আচমকা বাজ পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
|
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন গ্রাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে আংশিক জলমগ্ন হয়ে পড়ল পটাশপুর-২ ব্লকের পটাশপুর পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচটি গ্রাম। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাউ জানান, বাগুই নদীর জল মণিনাথপুর, সাঁয়া, চকশ্রীকৃষ্ণ ও মাধবপুর হয়ে পটাশপুর পঞ্চায়েতের কামালপুর, হরিডাঙর, কসবা পটাশপুর, তুপচিবাড় ও কৃষ্ণপুর (পাটনা) গ্রামগুলিতে ঢুকছে। এলাকার খালগুলি সংস্কার না হওয়ায় জল নিকাশে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষা না থামলে এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ব্লক অফিসে খোলা কন্ট্রোল রুম পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।”
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার সুতাহাটাতে। মৃতের নাম সঞ্জয় সাউ (১৬)। এ দিন সকালে স্নান করার জন্য শৌচাগারের আলো জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই কিশোর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। |
|