|
|
|
|
কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ |
র্যাগিংয়ের তদন্তে কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে। শুভ্র সামন্ত নামে ওই ছাত্রকে আহত অবস্থায় মঙ্গলবার তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র কোলাঘাট থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার জ্যোতঘনশ্যাম গ্রামের বাসিন্দা শুভ্র কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে থাকেন না। কাছেই মিহিটিকিরি গ্রামে এক আত্মীয় বাড়িতে থেকেই নিয়মিত যাতায়াত করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্লাসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উঁচু ক্লাসের কিছু ছাত্র অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতেন। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব বলে সাবধান করেছিলাম তাঁদের। গত ৩০ অগস্ট ক্লাস শেষে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কোলাঘাট থানার কিছু দূরে কাপড়ে মুখ ঢাকা চার-পাঁচ জন যুবক আমার উপরে হামলা চালান।” এরপর গত সোমবার কলেজে এসে শুভ্র বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবার তা কোলাঘাট থানায় জানান। তারই জেরে মঙ্গলবার কলেজে শুভ্রের উপরে উঁচু ক্লাসের ছেলেরা হামলা চালান বলে অভিযোগ।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শুভ্রের অভিযোগ, “মঙ্গলবার ক্লাস করার সময় আমাকে অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আচমকা কেউ পেছন থেকে আমাকে ধাক্কা মারেন। গড়িয়ে নিচে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর হাতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতও করেন হামলাকারীরা।” কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরাই শুভ্রকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, কারা তাঁকে ঠেলেছিলেন, তা জানাতে পারেননি শুভ্র। তাঁর বাবা তাপস সামন্ত বলেন, “সবে মাত্র কলেজে যোগ দিয়েছে। এরই মধ্যে যে সব ঘটনা ঘটছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানিয়েছি।” ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধিকর্তা নরেন্দ্রনাথ জানা বলেন, “ওই ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজের অ্যান্টি রাগিং কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশকে সাহায্য করা হচ্ছে।” পৃথক ভাবে তদন্ত করছে পুলিশও। |
|
|
|
|
|