বয়স তাঁর দিকে নেই ঠিকই, কিন্তু এখনও সর্বোচ্চ স্তরে রান করার ক্ষমতা আছে সচিন তেন্ডুলকরের। শুধু তাই নয়, ২০১৩ নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও তাঁকে রাখা উচিত। এক ওয়েবসাইটে নিজের কলামে এ কথা জানালেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ইনিংসে তিন বারই বোল্ড হন সচিন। যা দেখে ক্রিকেটমহলের একটা অংশ ঘোষণা করে দেয়, এই সচিন আর সেই সচিন নেই। মঞ্জরেকর অবশ্য লিখেছেন, “ওই তিনটে আউট দেখে আমার একবারও মনে হয়নি যে, আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন শেষ হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিনের ব্যাট থেকে রান আসা তখনই বন্ধ হবে যখন ও একেবারে অবসর নেবে।” সঙ্গে অবশ্য এটাও যোগ করেছেন, “হ্যাঁ, সচিন হয়তো আগের মতো কর্তৃত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারবে না। কিন্তু ভারতীয় দলে ওর উপস্থিতি এখনও মূল্যবান। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। কারণ সচিনের মধ্যে এখনও প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটার বেঁচে রয়েছে।” ফুল লেংথ ডেলিভারি নিয়ে এখন কিছুটা সমস্যায় পড়লেও সচিন তার মোকাবিলা করতে পারবেন বলে মনে করছেন মঞ্জরেকর। “সেরা ব্যাটসম্যানরাও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ফুল ডেলিভারি নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে। সচিনই প্রথম ব্যাটসম্যান নয়, যে এই সমস্যার সামনে পড়েছে। জাভেদ মিয়াঁদাদ, গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথ, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণদেরও এ রকম হয়েছিল। আর এই সমস্যা কী ভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে সেটা নিশ্চয়ই সচিন খুঁজে বার করবে। কারণ, ব্যর্থতা ওর প্রচণ্ড অপছন্দ।” |