শুধু খুনের ঘটনায় নয়, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণের ঘটনায়ও রাজ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাজধানী রাঁচি। বস্তুত ঝাড়খণ্ড পুলিশের চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসের সমস্ত রকম অপরাধের তালিকাতেই শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এই রাজধানী শহর।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যে নথিভুক্ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৯৪ টি। জেলা ভিত্তিক হিসেবে ধর্ষণে ‘প্রথম’ রাজধানী রাঁচি। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত রাঁচি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ৩৮ টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে সাঁওতাল পরগণার সাহেবগঞ্জ জেলা। এখানে নথিভুক্ত ধর্ষণের সংখ্যা ২৮। তৃতীয় স্থানে ধানবাদ এবং গুমলা, ২২ টি করে ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায়ও অন্য জেলাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে রয়েছে রাঁচি। ঝাড়খণ্ড পুলিশের হিসেবে, চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৬৯ টি ডাকাতির ঘটনার মধ্যে রাঁচিতে মোট ৩১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১ টি ব্যাঙ্ক ডাকাতি, বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ১২ টি এবং রাস্তায় ১৮ টি ডাকাতির ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় দ্বিতীয়স্থানে কয়লানগরী ধানবাদ। কয়লানগরীর নথিভুক্ত ডাকাতির ঘটনা ২২। তৃতীয়স্থানে পলামু জেলা। মোট ১৯টি ডাকাতি হয়েছে পলামুতে। তবে ঝাড়খণ্ড পুলিশের হিসেব অনুযায়ী অপরাধের শীর্ষে রয়েছে অপহরণের মতো সংগঠিত অপরাধ। রাজ্যে মোট ৬৫৩ টি অপহরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। রাঁচি জেলায় নথিভুক্ত অপহরণের ঘটনা ৯০ টি। এ ক্ষেত্রেও দ্বিতীয় স্থানে ধানবাদ। সেখানে ৬৫টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসের সব রকমের অপরাধের তালিকারই শীর্ষে রাঁচি। বছরের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যে মামলা যোগ্য অপরাধের--পুলিশি পরিভাষায় ‘কগনিজেবল ক্রাইম’-এর ক্ষেত্রেও পয়লা নম্বরে রয়েছে রাজধানী শহর। জুন মাস পর্যন্ত রাঁচি জেলায় মামলাযোগ্য অপরাধের মোট সংখ্যা ৩৫৫০। দ্বিতীয়স্থানে ধানবাদ। সেখানে মামলাযোগ্য অপরাধের ঘটনা ২৫৮১। তৃতীয়স্থানে রয়েছে পূর্ব সিংভূম জেলা। সেখানে নথিভুক্ত মামলাযোগ্য অপরাধের সংখ্যা ২১১৩ টি। |