দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা সদর বুনিয়াদপুরকে পুরসভা ঘোষণার দাবি উঠেছে। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াগান তৈরির কারখানার শিলান্যাস করার সময় বাসিন্দাদের আশা ছিল সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা গঠনের কথা ঘোষণা করে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবেন। সেটা হয়নি। সেজন্য তাঁরা হতাশ না হয়ে কেমন করে দাবি আদায় করবেন তা নিয়ে বেশি ভাবছেন। তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বাসিন্দাদের দাবির সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “পুরসভা গঠনের বিষয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরসভা ঘোষণা হতে পারে।” এ দিকে বাসিন্দাদের দাবি মেনে প্রশাসনিক মহলেও পুরসভা গঠনের বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর থেকে ওই বিষয়ে সমীক্ষা করে পরিকাঠামোগত তথ্য পাঠাতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক কৃত্তিবাস নায়েক বলেন, “বুনিয়াদপুর পুরসভা গঠনের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে তা রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বংশীহারি ব্লকে শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে সদর বুনিয়াদপুর। প্রায় ৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন। জনসংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। পেশাগত দিক থেকে কৃষির উপরে নির্ভরশীল নয় ৫০ শতাংশ বাসিন্দা এখানে থাকেন। প্রতি বর্গ কিমিতে ৭৫০ জন বাস করে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “পুর দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।” স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৯৪ সালে মহকুমা সদর হিসাবে বুনিয়াদপুর গঠিত হলেও শহর হিসাবে গড়ে তুলতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পুরসভা ঘোষণা হলে ওই সমস্যা মিটবে। স্থানীয় বণিক সভার সম্পাদক নারায়ণ মণ্ডল বলেন, “বুনিয়াদপুরের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এখানে ৪টি হাই স্কুল-সহ একটি কলেজ, একটি নির্মীয়মাণ আইটিআই কলেজ রয়েছে। রেল স্টেশনের পাশাপাশি আছে মহকুমা আদালত, ট্রেজারি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর। ওয়াগান ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। তাই পুরসভা ঘোষণা নিয়ে দেরি করা উচিত নয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বামফ্রন্টের সময় পুরসভার দাবি বারবার উপেক্ষা করা হয়েছে। তাই এলাকা এগোতে পারেনি। বুনিয়াদপুরে দমকল কেন্দ্র, মহকুমা সংশোধনাগার ও মহকুমা আদালত ভবনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে যুব কংগ্রেস। মহকুমাশাসককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। |