পদ শূন্য পড়ে ৫ বছর
কাজকর্ম লাটে স্বাস্থ্য দফতরে
ত পাঁচ বছরে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাজকর্ম শিকেয় উঠতে বসেছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে যে বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কর্মীদের এনে পরিস্থিতি সামল দিতে হচ্ছে। দফতরের ওই বেহাল দশার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের জেলা স্বাস্থ্য দফতর ইউনিট কমিটি। সংগঠনের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিতভাবে সমস্যার কথা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। কমিটির সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “পাঁচ বছর থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে বিভিন্ন পদে স্থায়ী কর্মী নেই। জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। আমরা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সমস্যা না মিটলে বড় আন্দোলন শুরু হবে।” সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম ঘোষ। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন পদে কর্মী না থাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কর্মীদের এনে কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হেডক্লার্ক এবং আপার ডিভিশন কার্ক মিলিয়ে দফতরে ১২ জন থাকার কথা হলেও বর্তমানে ৯ জন আছেন। লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক ৮ জনের মধ্যে আছেন ৫ জন। ১২ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর মধ্যে আছেন ১ জন। বাকি ১১টি শূণ্যপদে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল সহ ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল এবং রায়গঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সাফাই কর্মীদের তিনটি পদের মধ্যে একটি পদ শূণ্য। বাকি দুটি পদ অস্থায়ী ভাবে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও করণদিঘি হাসপাতালের দু’জন সাফাই কর্মী সামাল দিচ্ছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সরকারি আবাসনে একজন সাফাইকর্মী ও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদও ফাঁকা। শুধু তাই নয়। দফতরের মোট ২০ জন গাড়ি চালকের মধ্যে আছেন ১৫ জন। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের জেলা স্বাস্থ্য দফতর ইউনিট কমিটির নেতৃত্বের অভিযোগ, স্থায়ী ও দক্ষ কর্মীর অভাবে জেলাজুড়ে স্বাস্থ্য শিবির, রোগ নির্ণয়, ওষুধ বিলি ও জীবাণুনাশক স্প্রের কাজ কয়েক মাস থেকে বন্ধ। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ এবং নথি সরবরাহের কাজ প্রায় বন্ধের মুখে। চালকের অভাবে একাধিক গাড়ি না চলায় কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না। দক্ষ কর্মী না থাকায় মেডিক্যাল টিম গঠনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কর্মীর অভাবে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.