|
|
|
|
নবদ্বীপের হাসপাতালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
লোডশেডিং তো রোজই হয়। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই চলতে শুরু করে হাসপাতালের জেনারেটর। কিন্তু এ কী? টানা মিনিট দশেক পরেও যখন আলোর দেখা মিলছে না, তখনই হইচই শুরু হয়ে যায় অন্ধকার হাসপাতাল জুড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখা গেল, বিভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করছেন রোগীর আত্মীয়রা। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়ার্ড মাস্টার ও সুপারকে। তারপর বেশ কিছুক্ষণ পরে টিউব লাইট নয়, এক এক করে জ্বলে উঠল মোমবাতি। সোমবার সন্ধ্যায় এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের শতাধিক রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ লোডশেডিং হয়ে যায় নবদ্বীপে। গোটা শহরের সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধকারে ডুবে যায় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালও। তারপর প্রায় দেড় ঘন্টা অন্ধকারেই থাকতে বাধ্য হলেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রসূতি, সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরাও। অন্ধকারে রইল হাসপাতালের জরুরি বিভাগও। অগত্যা মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনওমতে সারতে হল ইঞ্জেকশন দেওয়া বা স্যালাইন পাল্টানোর মতো কাজ। এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। ওই সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক শতদল মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘কী করব বলুন? ঘন্টাখানেক ধরে মোমবাতি জ্বেলেই কাজ করতে হল।’’ কিন্তু নবদ্বীপের মত একটি ব্যস্ত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এমনটা হল কেন? হাসপাতালের সুপার স্বপন কুমার দাস বলেন, “এদিন সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ হাসপাতালের জেনারেটরটির মোটর পুড়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা করতে করতেই লোডশেডিং হয়ে যায়। এটা নিতান্তই একটি যান্ত্রিক গোলযোগ।” অবশেষে সওয়া আটটা নাগাদ বিদ্যুৎ এলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন চিকিৎসক থেকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। কিন্তু লোডশেডিং এর সময় কোথায় ছিলেন হাসপাতালের সুপার ও ওয়ার্ড মাস্টার? হাসপাতালের সবেধন একটি জেনারেটর তো যে কোনও সময়েই বিকল হতে পারে। তাহলে পরিবর্ত আর একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই কেন? উত্তর মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সদর মহকুমাশাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সব্যসাচী সরকার। |
|
|
|
|
|