|
|
|
|
শালবনিতে জ্বর, হবে জল-পরীক্ষা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মহাশোল-সহ শালবনির কয়েকটি গ্রাম থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করল স্বাস্থ্য দফতর। গত এক সপ্তাহে এই গ্রামগুলি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ৪৭ জন শালবনি ব্লক হাসপাতালে এসেছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এঁদের মধ্যে ২০ জনেরই জলবাহিত রোগ হয়েছে। তাই ওই সব এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “মেদিনীপুর থেকে প্রতিনিধিরা গিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে।”
সাধারণ গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত জেলায় ১০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে এঁদের চিকিৎসা চলছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহ। প্রথমে তিনি শালবনি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার সকালে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর ছেলে সন্দীপ সিংহ বলেন, “আগের থেকে বাবার শারীরিক অবস্থর উন্নতি হয়েছে। জ্বরও কমছে।” |
|
ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যবস্থার দাবিতে বাম ছাত্র-যুবের মিছিল। ছবি: রমাপ্রসাদ সাউ। |
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক কলেজ ছাত্রীরও মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। জ্বরে ভুগে মারা গিয়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কালগাঙের ৬ বছরের এক কিশোরও। নাম সুদীপ্ত দোলুই। রবিবার রাতে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, জ্বরের খবর পেলেই সেখানে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে শালবনির বিভিন্ন গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প শুরু হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরকে আরও উদ্যোগী হতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের উদ্যোগে সোমবার মেদিনীপুরে মিছিল হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ডেপুটেশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন যুব নেতা কুন্দন গোপ, ছাত্র নেতা মেঘনাদ পাল, সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ। বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে রক্তের নমুনা সংগ্রহের দাবিও জানান তাঁরা। সংগঠনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতার জন্যই বিভিন্ন গ্রামে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। আগাম ব্যবস্থা নিলে, গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হলে, এই পরিস্থিতি হত না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য বলেন, “নানা ভাবে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। শালবনিতে জলবাহিত রোগেও কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|