সরকারি নিয়ন্ত্রণে এ বার রাজ্যে রেশন দোকান চালু করছে রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ে জঙ্গলমহলে ২৯টি সরকারি রেশন দোকান চালু করা হবে। সোমবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যতিপ্রিয় মল্লিক ওই খবর জানান। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যের কোথাও সরাসরি সরকারি রেশন দোকান নেই। রাজ্যে রেশন দোকান রয়েছে বেশিরভাগ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, কয়েকটি রয়েছে সমবায় সংস্থার হাতে।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গলমহল এলাকায় রাজ্য সরকার নিজেরা মোট ৬৮টি রেশন দোকান চালাবে। সেই দোকানগুলি হবে মডেল রেশন দোকান। সরকার নিয়ন্ত্রিত দোকানগুলি সর্বত্রই হবে একই রঙের। তবে সেই রঙ কী হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, প্রতিটি দোকান তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ হবে ৯ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা করে। থাকবে গ্রাহকদের অপেক্ষা করার জন্য ছাউনি। সামগ্রী নেওয়ার জন্য বিশেষ কাউন্টার। আধুনিক পরিমাপ যন্ত্র। তার পাশেই থাকবে কেরোসিন তেলের দোকান। গ্রাহকেরা রেশন তোলার পরে সেখান থেকেই কেরোসিন তেলও তুলতে পারবেন। প্রতিটি দোকানের পিছনে থাকবে ১ লক্ষ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম। যেখানে রেশন দোকানের মালপত্র রাখা থাকবে। প্রয়োজনে খাদ্য দফতর সেই গুদামগুলি নিজেদের অন্য প্রয়োজনেও ব্যবহার করতে পারবে। রেশন দোকান তৈরির খরচ ছাড়াও প্রতিটি গুদাম তৈরি করতে খরচ হবে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি নীতি হল, “ক্রমশ রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকানকে ব্যক্তিগত মালিকানা মুক্ত করা।” তিনি বলেন, এখন থেকে রাজ্যে কোথাও রেশন দোকানের মালিকানা পরিবর্তন করা বা নতুন দোকান করতে হলে তা প্রথমে মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হবে। তারা দোকান নিতে না চাইলে সেই দোকানের দায়িত্ব স্থানীয় কোনও সমবায় সংস্থাকে নিতে বলা হবে। তারাও দোকান নিতে অস্বীকার করলে সেই দোকান চালাবে খাদ্য দফতর। কিন্তু কোনও ব্যক্তি মালিকানায় নতুন রেশন দোকান দেওয়া হবে না। |