উচ্চ মাধ্যমিকে কোনও পরীক্ষার্থী ৪৪.৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেলে সেটাকে ৪৫ শতাংশ বলেই ধরতে হবে। সেই সঙ্গেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের তালিকায় সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার নাম থাকলে তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকতে হবে এবং ভর্তিরও সুযোগ দিতে হবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এক ছাত্রের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই মর্মেই রায় দিয়েছে। সেই সঙ্গেই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই ছাত্রকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি নিতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের তালিকায় নাম থাকাই যথেষ্ট নয়। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা সরিৎ চক্রবর্তী জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ১৯০৫ র্যাঙ্ক পান। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি পেয়েছেন ৪৪.৬ শতাংশ নম্বর। তাই তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়নি। ওই ছাত্র বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। ছাত্রটিকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্ত। আদালতের ওই নির্দেশের পরে তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাত্রটিকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিচারপতি গিরীশচন্দ্র গুপ্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।
সরিতের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও পরীক্ষার্থী নম্বরের ক্ষেত্রে ০.৫ ভগ্নাংশের বেশি পেলেই সেটাকে পরের পূর্ণ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। তাঁর মক্কেল উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৪.৬ পেয়েছেন। তাই তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৫ বলেই ধরতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের পরে ওই ছাত্রকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ভর্তির টাকা জমা নেওয়া হয়নি।
বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি তরুণ দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে। জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে আবেদনকারীকে ভর্তি নিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ০.৫-এর বেশি পেলেই এখন থেকে সব ক্ষেত্রে তা পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যা হিসেবেই ধরতে হবে। |