জ্বর হলেই সকালে রক্ত পরীক্ষা করাতে ছুটছেন। আবার সন্ধ্যা হলেই মশার জ্বালাতনে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন পুরবাসী। এই অবস্থার জন্য তাঁরা দুষছেন পুরসভাকে। এই অবস্থায় সোমবার মশা মারতে কামান দাগতে নামল বাঁকুড়া পুরসভা। তবে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, “ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে বলে দাবিও করছেন। অথচ আরও আগে কেন মশা মারার জন্য ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা?” বাঁকুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক আবির বন্দ্যোপাধ্যায় কাউন্সিলারদের সেই দাবি না মানলেও পুরসভার দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা মশা মারার ‘কামান’টিকে মেরামতি করে মশা মারতে মাঠে নেমেই পড়ল বাঁকুড়া পুরসভা। সোমবার পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে মশা মারার যন্ত্র (ফগিং মেশিন) ব্যবহার করতে দেখা যায়।
তবে দীর্ঘদিন শহরে মশা মারার অভিযান বন্ধ ছিল কেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি বাঁকুড়া পুরসভার উপপুরপ্রধান অলকাসেন মজুমদার। তিনি বলেন, “গত পুরভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পরে মাস দু’য়েক শহরে মশা মারার অভিযান চালু ছিল। তার পরই বন্ধ হয়ে যায়। কেন বন্ধ হয়ে যায় তা জানি না।” অলকাদেবী জানান, মশা মারার ওষুধ কিনতে সম্প্রতি ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নিয়মিত মশা মারার অভিযান চলবে এ বার। এ দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের দশেরবাঁধ এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে দাবি ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা লাহার। তিনি বলেন, “দশেরবাঁধ এলাকার কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল নামে এক যুবকের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। বর্তমানে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।”
যদিও বাঁকুড়া পুরসভায় ডেঙ্গি আক্রান্ত কোনও রোগীর এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক আবির বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “কারও দেহে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে খবর নেই।” একই কথা বলেন বাঁকুড়া জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দাও। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে বলে নার্সিংহোমগুলি থেকে কোনও খবর পাইনি।” |