মুরগির মড়ক অব্যাহত বাদুড়িয়া ও স্বরূপনগরের বিভিন্ন গ্রামে। কিন্তু কী কারণে মড়ক, সে ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। অবশ্য ইতিমধ্যে মুরগির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রশাসনিক ভাবে মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য মাইকে প্রচার করাও হচ্ছে।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, দু’সপ্তাহের উপর মড়ক চলছে। অথচ, এখনও মুরগির রোগ নির্ণয় হল না। মুরগি চাষ করে ইতিমধ্যেই অনেকে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, “পোলট্রি ফার্মগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করে এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার চলছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে এখনও সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি।”
বাদুড়িয়া ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক গৌতম দেব বলেন, “মুরগির রক্তের নমুনা রাজ্য দফতরের মারফত ভোপালে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়া যাবে দিল্লি থেকে। সেই কারণে কিছুটা সময় লাগছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় বেশি মুরগি চাষ হয় বাদুড়িয়া ও স্বরূপনগরে। বহু বাড়িতেই ফার্ম করে মুরগি প্রতিপালন করা হয়। বাদুড়িয়াতে ১০ হাজারের উপরে পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। কিন্তু মড়কের কারণে অনেক ফার্মই এখন মুরগি-শূন্য। একই অবস্থা স্বরূপনগরেও।
বাদুড়িয়ার কাজির দোকান এলাকার বাসিন্দা নুরউদ্দিন কয়াল বলেন, “এক হাজার ছোট মুরগি বড় করতে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। মড়কের কারণে অনেক লোকসান হয়ে গেল। কিন্তু রোগের কারণটাই এখনও জানতে পারলাম না।” অলোকেশ মণ্ডল বলেন, “ফার্মে স্প্রে করে বা ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। মুরগি মরছে। অথচ, কী প্রতিষেধক দেব সেটাই জানতে পারছি না।” |