ধৃত কমিটি-নেতাকে নিয়ে হাড়গোড় উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জনগণের কমিটির মুখপাত্র জয়দেব মাহাতোকে জেরা করে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলার জঙ্গলে দু’জায়গায় মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় পাওয়া যায়। একটি ক্ষেত্রে হাড়গোড়ের সঙ্গে থাকা পোশাকের অবশেষ ও চপ্পল দেখে সেটি ঝাড়গ্রামের রাধানগর অঞ্চলের কালীনগর গ্রামের বাসিন্দা সিপিএমের দলীয় সদস্য নৃপেন মাহাতোর বলে শনাক্ত করেছেন তাঁর স্ত্রী লীলাবতীদেবী। পুলিশ জানিয়েছে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাড়গোড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। অন্য ক্ষেত্রের হাড়গোড় শনাক্ত করা যায়নি। |
|
বাঁশতলার জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
সেটিতে জড়ানো নীল-সাদা রংয়ের শাড়ির অবশেষ পাওয়া গিয়েছে। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট নৃপেনবাবু। পরদিন ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী লীলাবতীদেবী। ইতিমধ্যে ধৃত একাধিক ‘মাওবাদী’কে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, যে নৃপেনবাবুকে অপহরণের পর খুন করে তাঁর দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় জয়দেব মাহাতোর যুক্ত থাকার তথ্য মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। সেই সূত্রেই গত শনিবার ঝাড়গ্রামের দহতমূল গ্রামের বাড়ি থেকে জয়দেবকে ফের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে জয়দেবকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়। গত বছর নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন ও হামলা-নাশকতার একাধিক মামলার অভিযুক্ত জয়দেবকে প্রথমবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আট মাস জেলবন্দি থাকার পর সব ক’টি মামলায় জামিন পেয়ে গত ২৫ জুলাই জেল থেকে ছাড়া পান জয়দেব। এ দিন জয়দেবকে সঙ্গে নিয়েই বাঁশতলার জঙ্গলে হাড়গোড় উদ্ধার করতে গিয়েছিল পুলিশ। |
|