|
|
|
|
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই, অশান্ত বনপুরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরায়। জখম হয়েছেন অন্তত ৫ জন। কয়েকটি ঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার রাত থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বেশ কয়েক মাস ধরেই একটি বর্গা জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। আগেও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। বোমাবাজি হয়েছে। বোমা ফেটে যুব তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা জখম হয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করতে পারছেন না। স্থানীয় দুই গোষ্ঠীই পরস্পরের বিরুদ্ধে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। উভয়েরই দাবি, এক সময় যারা সিপিএমের হয়ে এলাকায় সন্ত্রাস করেছে, অন্যপক্ষ তাদেরই মদত দিচ্ছে। |
|
ভাঙচুর হওয়া ঘরদোর। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
এলাকায় নতুন করে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। বনপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হোসেন আলি মল্লিক সিপিআইয়ের প্রতীকে নির্বাচিত হন। এখন অবশ্য দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। বছর দেড়েক আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিআই। এরপরই তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ বাড়ে। কেন এই সংঘর্ষ? তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের অবশ্য সাফাই, ঘটনার পিছনে সিপিএমের ইন্ধন রয়েছে। দলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আত্মীয়রাই এলাকায় গোলমাল করছে।” তাঁর বক্তব্য, “ঘটনার সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতাদের মতবিরোধের কোনও ব্যাপার নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আইনানুগ পদক্ষেপ করবে।” অন্য দিকে, লাগাতার অশান্তির জন্য তৃণমূলকেই দুষেছে সিপিএম। দলের মেদিনীপুর (পূর্ব) গ্রামীন জোনাল কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন মাইতি বলেন, “ওখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই গোলমাল হয়েছে। ওদের হাতে প্রচুর বোমা-বন্দুক রয়েছে। প্রায়ই এলাকায় বোমাবাজি করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত। বিষয়টি দলের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গোলমালে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|