|
|
|
|
মেলেনি বেতন |
পুরকর্মীদের কর্মবিরতি খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাস পয়লায় বেতন না মেলায় সোমবার সকালে অফিস খোলার পরই কর্মবিরতি শুরু করেন খড়্গপুর পুরসভার কর্মীরা। এর ফলে বিভিন্ন কাজ নিয়ে পুরসভায় আসা লোকজনদের সমস্যায় পড়তে হয়। পরে কর্মীদের এক প্রতিনিধি দল উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন। শেষমেশ তুষারবাবুর হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কর্মবিরতি ওঠে। উপ-পুরপ্রধান আশ্বাস দেন, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বেতন মিলবে।
উপ-পুরপ্রধান বলেন, “কর্মীদের মধ্যে বেতন না মেলার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমি ওঁদের আশ্বস্ত করেছি। জানিয়েছে, একটা সমস্যার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমার আবেদনে সাড়া দিয়েই ওঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন।” কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হতে পারে? তুষারবাবুর বক্তব্য, “পুর- দফতর থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সে ভাবেই পদক্ষেপ হবে। আশা করছি, দু’-এক দিনের মধ্যেই নির্দেশ চলে আসবে।”
অনাস্থা সংক্রান্ত জটিলতার জেরে এ বার পুরসভার কর্মীদের মাস পয়লায় বেতন হয়নি। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে কয়েকদিন আগে থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে কী করণীয় জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে তা লিখিত ভাবেই জানতে চেয়েছিলেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ই ও) বাসুদেব পাল। তবে সোমবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসন কোনও নির্দেশ পাঠায়নি।
খড়্গপুর পুরসভায় ২৯৭ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। অস্থায়ী কর্মী ৭৯ জন। পেনশন প্রাপকের সংখ্যা ১৯২। উদ্ভুত পরিস্থিতির জেরে সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। চেকে কে সই করবেন, পুরপ্রধান না উপপুরপ্রধান, বেতনের ক্ষেত্রে এটাই সমস্যা। কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। অনাস্থা নিয়ে পুর-দফতর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ চলে এলে, এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। পুর-দফতর যদি জানায়, অনাস্থা পাশ হয়নি, তাহলে পুরপ্রধান সই করতে পারেন। কিন্তু অনাস্থা পাশ হলে চেকে সই করবেন উপ-পুরপ্রধান। কারন, অনাস্থা পাশ হয়ে গেলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের মিটিং করতে হয়। আর এই সময়ের মধ্যে পুরপ্রধানের কাজকর্ম দেখভাল করেন উপপুরপ্রধান।
পুরসভার কর্মীদের কর্মবিরতি যখন চলছে, তখনই খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা’র সঙ্গে দেখা করেন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার (ই ও)। সমস্যার কথা তিনি মহকুমাশাসককে জানান। পরে ওই অফিসার বলেন, “পুর-দফতর থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে আমি পুর-দফতরে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানাব।” |
|
|
|
|
|