|
|
|
|
উদ্বেগে এবিটিএ |
একাংশ নেতৃত্ব কর্মসূচি বিমুখ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নেতৃত্বের একাংশ কর্মসূচি এড়িয়ে চলায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করল সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি’ (এবিটিএ)। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সংগঠনের বক্তব্য, নেতৃত্বে থাকার অধিকার ভোগ করব অথচ সাংগঠনিক কাজ করব না, তা আর করা যাবে না। ইতিমধ্যে সংগঠনের সদস্যদেরও এ কথা জানানো হয়েছে।
রবিবার মেদিনীপুর শহরের কর্মচারী ভবনে সংগঠনের মেদিনীপুর (সদর) মহকুমা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সম্মেলনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনেই এই ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে। আত্মসমালোচনা করে যেখানে বলা হয়েছে, ‘মহকুমার কার্যকরী কমিটির সদস্যরা মনে করেন যে মিটিংয়ে উপস্থিত হলেই চলবে। বাকি কাজ সম্পাদক-সহ আরও দু’-একজন করলেই হবে। অনেকেই সভায় এসে এমন ভাব দেখান যেন নেতৃত্বকে ধন্য করলেন। অনেকে সভায় নিয়মিত আসেনই না। এই ধরনের মানসিকতা নতুন কমিটিকে বর্জন করতে হবে।’ সংগঠন সূত্রে খবর, ২০০৮ সালের অগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত মহকুমা কার্যকরী কমিটির সভা হয়েছে ২৩টি। বর্ধিত সভা হয়েছে ৭টি। সম্পাদকমণ্ডলীর সভা হয়েছে ৩০টি। মহকুমা সম্পাদক সুবীর সিংহ ছাড়া কেউই সব সভায় হাজির ছিলেন না। সম্পাদকমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্যও নানা কারণে সভা এড়িয়ে গিয়েছেন। কোন সদস্য কতদিন সভায় হাজির ছিলেন, প্রতিবেদনে তা-ও আছে।
সদস্যদের একাংশ অপরের সমালোচনায় যতটা সরব, আত্মসমালোচনায় ততটা নন বলেই মনে করছে এবিটিএ। নেতৃত্বের একাংশ সদস্য কর্মসূচি বিমুখ হওয়ায় এ বার সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও ধাক্কা খেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বারবার জেলা ও মহকুমা কমিটির সভায় জোনাল নেতৃত্বদের টিম করে ইউনিটে সদস্য সংগ্রহের জন্য যাওয়ার কথা বলা হলেও সদর মহকুমায় কোথাও তা নির্দিষ্ট সময়ে নেতৃত্বদের কথা মতো যাওয়া হয়নি বা ‘সন্ত্রাসের কারণ’ দেখিয়ে যাওয়া হয়নি বা বিলম্ব করা হয়েছে। ফলে সদস্য সংগ্রহের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনো গেল না।’ অন্য দিকে, ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র সংগ্রাম শুরু করার আগে নিজেদের দুর্বলতাগুলিও চিহ্নিত করেছে এবিটিএ। সংগঠনের এক জেলা নেতা বলেন, “সদস্যদের মধ্যে মতাদর্শের চর্চার অভাব রয়েছে। এ কাজটা ধারাবাহিক ভাবে করতে হবে।” পাশপাশি, সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনে যোগ দেওয়া ও মানুষের সঙ্গে বেশি করে মেলামেশার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক সময় মাওবাদী প্রতিরোধের নামে যে ভাবে শিক্ষকদের থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছিল এবং তা নিয়ে সংগঠনের অন্দরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল, সেই বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। একাংশ নেতৃত্ব সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, জেলা নেতৃত্বের মদতেই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। কেন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হল, তা নিয়েও আবার একাংশ সদস্যের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এক জেলা নেতার মন্তব্য, “প্রতিবেদনে তো বলাই হয়েছে, ‘আমরা যত বেশি প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি জাতীয় ভাবনায় মগ্ন থাকব, ততই তাদের (সংবাদমাধ্যমের) সুবিধা।’ তাই হয়তো বিষয়টির উল্লেখ করা হয়নি।” |
|
|
|
|
|