বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিবাহিত জীবন অসহ্য হয়ে উঠেছিল। তাই জীবন থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ইমাদি অনিল কুমার। কিন্তু বিদেশের মাটিতে জীবন শেষ করতে মন চায়নি তাঁর। শেষমেশ দেশে ফিরে এসেছিলেন। গত কাল একটি ট্যাক্সির মধ্যে তাঁর মৃতদেহ মেলে। অনিলের জামার পকেটে মিলেছে সুইসাইড নোট। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেই তিনি লিখে গিয়েছেন, “আত্মহত্যা করতেই দেশে ফেরা।”
বছর তিরিশের অনিল গুন্টুরের বাসিন্দা। এক বছর আগে কোডাডের মেয়ে স্বপ্নার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই সস্ত্রীক সান দিয়েগোয় চলে যান অনিল। এর পরেই ধীরে ধীরে অশান্তির শুরু। পুলিশ জানিয়েছে, দিন দশেক আগে দেশে ফিরে এসেছিলেন স্বপ্না। উঠেছিলেন বাপের বাড়িতে। শনিবার অনিলও দেশে ফেরেন। হায়দরাবাদে ফিরে একটি হোটেলে ওঠেন তিনি।
এর পর রবিবার কুকাটপল্লিতে শালার বাড়িতে যাবেন বলে ঠিক করেন। একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে অবাক হয়ে যান ট্যাক্সিচালক। কোনও সাড়া দিচ্ছেন না কেন অনিল? কুকাটপল্লি থানার ইনস্পেক্টর বলেন, “ট্যাক্সিচালক ভেবেছিলেন, অনিল বোধ হয় কারও জন্য অপেক্ষা করছেন। তাই বিরক্ত করেননি। কিছু ক্ষণ পর খেয়াল করেন, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর সওয়ারি। ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেদের ডেকে আনেন। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনিলকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।” অনিলের জামার পকেট থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চিঠিতে অনিল লিখে গিয়েছেন, দাম্পত্য জীবনের অশান্তিতেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তাঁর জীবনের কোনও স্বপ্নই পূরণ হয়নি। আত্মহত্যা করতেই দেশে ফিরেছেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ, গাড়িতে ওঠার আগেই অথবা গাড়িতে উঠে বিষ খেয়েছিলেন অনিল। |