|
|
|
|
|
বিমানবন্দরের পাশ অনলাইনে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
বিমানবন্দরে ঢোকার ‘পাশ’ বা ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছিল দেশ জুড়ে। এবং শীর্ষে ছিল কলকাতা বিমানবন্দরের নাম! এ বার ওই ছাড়পত্র পাওয়ার পদ্ধতিটাই বদলে ফেলা হচ্ছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ বার থেকে পাশ পাওয়া যাবে অনলাইনে।
এর আগে চেন্নাই ও দিল্লিতে পরীক্ষামূলক ভাবে অনলাইনে পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। চলতি মাসে চালু হয়েছে কলকাতাতেও। ২৬ অগস্ট কলকাতায় বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে একটি করে ‘আইডি’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে। সেই দু’টির সাহায্যে অনলাইনে পাশের জন্য আবেদন করতে পারবে তারা।
বিমান মন্ত্রকের অধীনে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিওরিটি (বিসিএএস)-র স্থানীয় অফিসারেরা এত দিন সরাসরি এই পাশ দিতেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে প্রধানত তাঁদের বিরুদ্ধেই। দিল্লি থেকে বিসিএএসের এক কর্তা জানান, পুরো ব্যবস্থাটির মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে পাশ দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। এ বার থেকে ওই পাশের জন্য বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন বিসিএএসের কাছে পাঠাবে। আবেদনকারীকে বিসিএএস অফিসারের সামনে হাজির হতে হবে না।
অনলাইনে পাশ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করার পিছনে বিশেষ একটি উদ্দেশ্যও আছে কর্তৃপক্ষের। সেটা হল, যাঁরা পাশ চাইছেন, সেই আবেদনকারীদের তথ্য জমিয়ে রাখা। বিসিএএসের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, “যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য কম্পিউটারে রেখে দেওয়াটা নিরাপত্তার খাতিরেই জরুরি ছিল।” তবে অন্য কারণও আছে। বিসিএএস সূত্রের খবর, কলকাতা ছাড়াও দেশের অন্য বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় বিসিএএস অফিসারদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসছিল।
কলকাতায় বিসিএএসের ডেপুটি কমিশনারের পদে আছেন বি এস তিওয়ারি। অভিযোগ, ছাড়পত্র দেওয়ার নামে তিনি বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের হেনস্থা করতেন। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি তদন্ত চলছে। একটি ক্ষেত্রে তাঁর দফতরেরই এক মহিলা অফিসার অভিযোগ করেছিলেন। অন্য ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের এক মহিলা কনস্টেবল ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তিওয়ারি অবশ্য বলেন, “অভিযোগ তো যে-কেউই করতে পারেন। কিন্তু তা প্রমাণিত হলে তবেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আমার বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।” দিল্লি থেকে বিসিএএসের এক কর্তা জানান, ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মহিলা কমিশনের তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পেলে ‘যথাযথ’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু তদন্তের মধ্যেই ওই অফিসারের পদোন্নতি হয়েছে বলে বিমানবন্দরের খবর। সেটা কী ভাবে সম্ভব হল, তার সদুত্তর মেলেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবাল বলেন, “খুবই সুবিধা হল। কারণে-অকারণে পাশের জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত আর বিসিএএসের অফিসে বসে থাকতে হবে না। কাদের ছাড়পত্রের প্রয়োজন, বিমানবন্দরের অধিকর্তাই সেটা ভাল বোঝেন। ফলে কে পাশ পাবেন, কর্তৃপক্ষই সেই ব্যাপারে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” |
|
|
|
|
|