|
|
|
|
সল্টলেক ও শিল্পতালুক |
আশ্বাসেই আটকে জলসঙ্কটের সমাধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ডেঙ্গির দাপটের পাশাপাশি পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে সল্টলেকে। সোমবার পর্যন্ত ওই রোগের প্রাদুর্ভাব কমার কোনও লক্ষণ নেই। তবে আগামী দশ দিনের মধ্যে সল্টলেকে পানীয় জলের এই সঙ্কট মিটে যাবে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সল্টলেক এবং নবদিগন্ত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে এ দিন মহাকরণে বৈঠক করেন ফিরহাদ। ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সল্টলেক পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। জলের বণ্টন নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কৃষ্ণাদেবী। অন্য দিকে, নবদিগন্তে বাণিজ্যিক সংস্থায় সরবরাহ করা জলের দাম নিয়েও চাপান-উতোর হয়। আলোচনায় অবশ্য সমাধানের পথ খোলার চেষ্টা হয়।
ফিরহাদ জানান, সল্টলেক পুরসভা বলেছে, কলকাতা পুরসভা থেকে আগে তারা প্রতিদিন ৪০ লক্ষ গ্যালন জল পেত। এখন পাচ্ছে ৩০ লক্ষ গ্যালন। কলকাতার মেয়র অবশ্য জানান, সল্টলেককে তাঁরা ৪০ লক্ষ গ্যালন জলই দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, সল্টলেকের প্রতিদিন ১ কোটি গ্যালন জল প্রয়োজন। এখন সরবরাহ হয় প্রায় ৬০ লক্ষ গ্যালন। আগামী দশ দিনের মধ্যে টালা-পলতা থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৩০ লক্ষ গ্যালন জল পাবে সল্টলেক। এ ছাড়া, সল্টলেকে ভূগর্ভ থেকে আড়াই মিলিয়ন গ্য্যলন জল পাওয়া যাবে। ফিরহাদ মন্তব্য করেন, “সব মিলিয়ে তাই সল্টলেকের পানীয় জলের সঙ্কট খুব শীঘ্র মিটে যাবে।”
সেক্টর ফাইভে নবদিগন্ত শিল্পাঞ্চলে বাণিজ্যিক সংস্থার অফিসগুলিতে পাইপলাইনের সাহায্যে জল সরবরাহ করে ‘জুসকো’। এ জন্য তারা গ্যালন-প্রতি ২৫ টাকা করে কর নেয়। নগরোন্নয়নমন্ত্রী জানান, এর মধ্যে গ্যালন-প্রতি ৪ টাকা করে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়ার কথা। যদিও এখনও জলকর বাবদ কোনও টাকাই পায়নি কলকাতা পুরসভা। বৈঠকে কলকাতার মেয়র দাবি করেন, গ্যালন-প্রতি ১৬ টাকা করে দিতে হবে জুসকোকে। সংস্থার প্রতিনিধি পাল্টা বলেন, তা হলে গ্যালন-প্রতি ৪১ টাকা (২৫+১৬ টাকা) কর নেওয়া হোক।
এই বিতর্কের মধ্যে নগরোন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ২৫ টাকার মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে ১৬ টাকা দিয়ে বাকি ৯ টাকা নিক জুসকো। সংস্থার প্রতিনিধি তা মানতে চাননি। মন্ত্রী পরে বলেন, “বাণিজ্যিক সংস্থার অফিসগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে জেএনএনইউআরএম থেকে অর্থসাহায্য করা হয়েছে। বাকি যে টাকা জুসকো দিয়েছে, সেই খরচ আমরা দিয়ে দিতে পারি। তার পরে নবদিগন্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিদিন ২০ লক্ষ গ্যালন জল আমরাই সরবরাহ করব। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সল্টলেক ও নবদিগন্তের কত জল প্রয়োজন, তা খতিয়ে দেখে ঠিক করা হবে।” পরে কলকাতার মেয়র শোভনবাবু জানান, টালা-পলতা পাইপলাইন চালু হয়ে গেলে সল্টলেক ও লেকটাউনে জল দেবে পুরসভা। |
|
|
|
|
|