সমবায় নির্বাচন ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তুলতে আসার সময় তৃণমূল সমর্থিত সমবায় সমিতির দুই সদস্যকে মারধর করার আভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই অপর একটি গোষ্ঠীর কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানা এলাকার গাঁড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ার কাছে। এই মর্মে ৯ জনের নামে দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ৭৫৮ সদস্য বিশিষ্ট পদুমা সমবায় সমিতির নির্বাচন। সেই জন্য মনোনয়ন পত্র তোলার দিন ধার্য হয়েছিল সোমবার ও মঙ্গলবার। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ছিল ছিল মঙ্গল ও বুধবার। অশান্তি হতে পারে ধরে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতেই মনোনয়নপত্র তুলতে আসার পথেই শেখ ইদ্রিশ এবং শেখ নুর আক্কাস মণ্ডল নামে দুই সমবায় সদস্যকে গাঁড়া আদিবাসী পাড়ার কাছে আটকে বেধরক মারধর করে দলের অপর একটি গেষ্ঠীর বেশ কিছু লোক। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “এ দিন যাঁরা আমাদের সমর্থিত দুই প্রার্থীকে মারধর করেছেন, তাঁরা সিপিএম ছেড়ে আসা কিছু তৃণমূলের লোক। ফলস্বরূপ আমাদের সমর্থিত প্রার্থীরা এ দিন মনোনয়নপত্র তুলতেই পারেননি। নেতৃত্বে ছিলেন নিরঞ্জন ঘোষ।”
যদিও মলয়বাবুর বক্তব্যকে মানতে নারাজ তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর নেতা শৈলেন মাহাতা। তাঁর পাল্টা দাবি, “নিরঞ্জন ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছেন। তিনি কোনও ভাবেই ওই ঘটনায় যুক্ত নন। আর সত্যিই যদি এরকম কোনও ঘটে থাকে, তা অন্য কেউ করেছে। আমদের কেউ নয়।” ওই সমবায় সনিতির ম্যনেজার মধুসূদন হাজরা বলেন, “বাইরের খবর বলতে পারব না। এটুকু জানি মনোনয়নপত্র জমা পড়লে তবেই ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। |