যুবকের মৃত্যুতে অভিযুক্ত পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
দুষ্কৃতী সন্দেহে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ মারধর করার জেরেই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের, এমন অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের বি-জোন ফাঁড়ির বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের নাম উত্তম মাল (৩৩)। বাড়ি বহরমপুরে। সানোয়ার শেখ নামে এক ব্যক্তি আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব)-এর কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব অবশ্য বলেন, “পুলিশের চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে গুরুতর জখম হয়েছিল ওই যুবক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।”
পেশায় রাজমিস্ত্রি সানোয়ার শেখ জানান, গত কয়েক বছর ধরে তিনি দুর্গাপুরের সেপকো এলাকায় নানা নির্মাণকাজে যুক্ত। মুর্শিদাবাদ থেকে বেশ কিছু যুবক তার অধীনে কাজ করেন। তাঁর দাবি, ১ সেপ্টেম্বর কাজ শেষে তাঁরা ভারতী রোডে বেড়াতে বেরোন। সন্ধ্যায় বিদ্যাপতি রোড ও জয়দেব রোডের বিপরীতে জঙ্গলের ধারের রাস্তা দিয়ে ফেরার সময়ে পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। উত্তমকে ধরে পুলিশ বি-জোন ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ তাঁদের জানায়, উত্তমবাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সানোয়ারের অভিযোগ, “ওকে দেখেই বুঝতে পারি, মারধর করা হয়েছে।” তিনি জানান, ভোরে পুলিশ উত্তমবাবুকে গাড়ি ভাড়া করে বহরমপুর হাসপাতালে পাঠায়। সোমবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সানোয়ার শেখের দাবি, “ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য লিখিত আর্জি জানিয়েছি।” এডিসিপি (পূর্ব) অবশ্য বলেন, “দুষ্কৃতী সন্দেহে পুলিশ ওই যুবককে ধরে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখনই গুরুতর জখম হন।” |