আমাদের চিঠি

অবহেলায় শতাব্দী প্রাচীন স্টেশন মাজদিয়া
ভাঙাচোরা প্ল্যাটফর্মে চলে ওঠানামা।
শিয়ালদহ-গেদে রেলপথের একটি শতাব্দী প্রাচীন রেল স্টেশন মাজদিয়া। এই সেকশনের অন্যান্য স্টেশনগুলির লক্ষণীয় উন্নতি নজর কাড়লেও মাজদিয়া স্টেশনের উন্নতি দীর্ঘদিন থমকে পড়ে আছে। প্ল্যাটফর্মের দীর্ঘকরণের কাজ বন্ধ, ট্যাপকল থেকে বেগে হুড়হুড় করে জল পড়ে নষ্ট হচ্ছে, আম-সবজি ভেন্ডারের দৌরাত্ম্যে আপ প্ল্যাটফর্মের দিকে রাস্তায় হাঁটা দায়। দ্বিতীয় টিকিট ঘরের ব্যবস্থাও হল না। (আসন সংরক্ষণ কাউন্টার তো দূর অস্ত্), যাত্রীদের বসার সিটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, নেই যথেষ্ট আলো-পাখার ব্যবস্থা। প্ল্যাটফর্মের সীমানা-প্রাচীরও অসর্ম্পূণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নেই ডিজিটাল ঘড়ি, ট্রেন চলাচলের সময়-সারণিটি দেওয়ালে লেখা নেই, ফ্লেক্স ব্যানারে কোনও রকম দায়সারা গোছের।
অযত্নে পড়ে রাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের ব্যবহৃত চেয়ার।
স্টেশন যথেষ্ট নোংরা, পর্যাপ্ত ঝাড়ুদার নেই। কাউন্টার থেকে যে টিকিট দেওয়া হয় তার লেখাগুলো খুবই অস্পষ্ট। মাঝে মাঝেই মেশিন খারাপ হয়, মাঝে মাঝেই কম্পিউটারাইজড টিকিট ব্ল্যাঙ্ক বেরিয়ে আসে। তখন স্টেশনের রবার স্ট্যাম্প মেরে হাতে লিখে দেওয়া হয়। রেলের কাউন্টার সংলগ্ন এলাকার পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। শব্দদূষণ, ধোঁয়ায় ইমারতটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্টাফ কোয়ার্টারগুলি অব্যবহৃত, জরাজীর্ণ। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে নানা পসরার দোকান। প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার সময় নিকাশির সঠিক ব্যবস্থা না-থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে প্ল্যাটফর্মে জল জমে যায়। স্টেশনের অধিকাংশ ঘর বন্ধ, অব্যবহৃত। সব চেয়ে পরিতাপের বিষয় যেটা, বহু মূল্যবান একটি কাঠের চেয়ার যা সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত রেল কর্তৃপক্ষের। যে চেয়ারটিতে রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী প্রমুখের ন্যায় গুণীজন বসেছেন। কতবার রবীন্দ্রনাথ, গাঁধীজি, জওহরলাল নেহরু, সুভাষ বোস, মহম্মদ আলি জিন্না এই ট্রেনপথে যে যাতায়াত করেছেন তা সকলেই জানেন। রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় ১৪/৪/১৯৩৯ সালে যে ভয়াবহ ঢাকা ও সুর্মা মেলের দুর্ঘটনা ঘটে তার রাজসাক্ষী আজও এই রেলস্টেশন। মাজদিয়া নামকরণে কল্পিত কর্কটক্রান্তি রেখাটি যে জনপদটির মাঝখান দিয়ে চলে গেছে তার ব্রিটিশ আমলের সেই স্মারক-প্রজ্ঞাপনটি আজ আর নেই! যাত্রী-নিরাপত্তায় কোনও রেলপুলিশও এই স্টেশনে নেই। এলাকার নির্বাচিত এম পি-র এ সব কি কিছুই নজরে পড়ে না? না জানা নেই? তাই, বর্তমান রেলমন্ত্রী মাননীয় মুকুল রায়-এর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পত্র।
ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রয়োজন
আমার বাপের বাড়ি বীরসিংহ গ্রামে। শ্বশুরবাড়ি রায়না। হাফ শহর বললেই চলে। সব রকম সুবিধা আছে, শুধু পয়সা থাকলেই হবে। কিন্তু বাপের বাড়ির গ্রামটার জন্যই খুব চিন্তা। ধনী লোকের বাস কম। মধ্য-নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস গ্রামে। দু’একজন ডাক্তার সামান্য অসুখ-বিসুখ হলে ওঁনারা সামাল দেন। এই গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। ভারী অসুখ হলে পাঁচ মাইল দূরে সোনামুখী, না হয় বিশ মাইল দূরে বাঁকুড়া হাসপাতালে ছুটতে হয়। যেতে যেতেই রোগীরা অর্ধমৃত প্রায়। কেউ কেউ ডাক্তারখানা যাওয়ার আগেই প্রাণহীন নিথর হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই সব সমস্যার প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন তাহলে আমাদের প্রভূত উপকার হয়।
গুরুত্ব পাক চিঠি
বাঙালির সংস্কৃতি চিন্তাই চিঠি লেখা একটি অন্যতম শিল্প মাধ্যম। চিঠি লেখা একটি শিল্পএ কথা কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ব্যক্তিত্ব সকলেই স্বীকার করেন। আর সেই চিঠি যদি সাহিত্যগুণ সম্পন্ন হয়, তা হলে তার নান্দনিকতা আরও বাড়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, চিঠি লেখা এখন আর তেমন হয়ে ওঠে না। এই শিল্পটির গুরুত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। মোবাইল, ম্যাসেজ, ইন্টারনেট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, তথ্য-প্রযুক্তির দৌলতে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ এমন অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে ভাবা যায়নি। বিশ্বায়ন ও নগরায়নের যুগে এই ধরনের পত্রমিতালি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র, স্বামী প্রণবানন্দের চিঠিপত্র, ঋষি অরবিন্দের চিঠিএগুলি কী শুধু লাইব্রেরি অথবা মিউজিয়ামের সম্পদ হয়ে থাকবে। কেউ কাউকে এখন আর চিঠি লেখে না, ভাবতে অবাক লাগে!
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণনাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.