|
|
|
|
মহিলা কিষাণ স্ব-শক্তিকরণ পরিযোজনা |
আবেদনে সাড়া নেই, শুরুতে ধাক্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কৃষিকাজে যুক্ত মহিলাদের স্বনির্ভর করতে রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘মহিলা কিষাণ স্ব-শক্তিকরণ পরিযোজনা’। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রকল্প রূপায়ণের গোড়াতেই ধাক্কা খেল প্রশাসন। কারণ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ণের কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এ জন্য আবেদন জানিয়েছে মাত্র একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে প্রকল্প রূপায়িত হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর শান্তনু দাস অবশ্য বলেন, “এই প্রকল্প চালু হলে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা খুবই উপকৃত হবেন। তাই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি চালুর আগে একটি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিল কেন্দ্র। তাতে দেখা গিয়েছে, কৃষিকাজে যুক্ত পুরুষের থেকে মহিলার সংখ্যা বেশি। কেউ কৃষি-শ্রমিক হিসেবে অন্যের জমিতে কাজ করেন, কেউ আবার নিজের সামান্য জমিতেই চাষ করেন। অনেকে আবার ভাগচাষি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের সকলকেই সাহায্য করবে সরকার। যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যে এলাকায় কাজ করবে, প্রথমে সেখানে একপ্রস্থ সমীক্ষা চালানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বছরে ক’বার ও কী কী চাষ হয়, তার জন্য বিঘা প্রতি কত বীজ প্রয়োজন, ক’বার সেচ দিতে হয়, বিঘা প্রতি রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের জন্য কত খরচ হয়সব তথ্যই সংগৃহীত হবে সমীক্ষায়। তারপর চাষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করা হবে কৃষিকাজে যুক্ত মহিলাদের। এর জন্য যে খরচ হবে তার ৭৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র, বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে প্রকল্প রূপায়ণকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। কিছু দিন আগে এ জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার ছিল আবেদন জানানোর শেষ দিন। কিন্তু মাত্র একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবেদন জানিয়েছে। স্বভাবতই বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। একটি সংস্থাকেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি ফের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে আবেদন আহ্বান করা হবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে ২৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে বলেই হয়তো সাড়া মিলছে না। ফলে, প্রকল্প রূপায়ণ ঘিরেও সংশয় দেখা দিয়েছে। |
|
|
|
|
|