সঙ্গীর দেহ ঘিরে পথ অবরোধ বাঁদরদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
মোটরবাইকের ধাক্কায় সঙ্গীকে লুটিয়ে পড়তে দেখেই দলে দলে আস্তানা থেকে চলে এসেছিল ওরা। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সঙ্গীকে পরম যত্নে আগলেও রেখেছিল। তবে, শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচেনি সেই সঙ্গী। হয়তো সেই ‘ক্ষোভে’ই তার পর ওরা বসে পড়ে ফালাকাটার তাসাটি চা-বাগান সংলগ্ন জাতীয় সড়কের উপরে। ঘিরে রাখে সঙ্গীর দেহ। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া মানুষজনের চোখে পড়ে বাগানের ‘বাসিন্দা’ বাঁদরদের এই অবরোধ। জাতীয় সড়কে বাঁদরদের ঘণ্টা দেড়েকের অবরোধে থমকে যায় দু’দিকের যান চলাচল। বাসিন্দারা পথ অবরোধ করলে সাধারণত পুলিশ ডাকেন গাড়ির চালকেরা। এ ক্ষেত্রে কাকে ডাকা উচিত, তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জল্পনা চলে। পরে, চা-বাগান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই খবর পাঠানো হয় দলগাঁ বন দফতরে। বনকর্মীরা গিয়ে পটকা ফাটিয়ে বাঁদরগুলিকে তাড়ান। মৃত বাঁদরটির দেহ সরিয়ে নেওয়ার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বন দফতরের দলগাঁর রেঞ্জ অফিসার মানস আচার্য বলেন, “বছর দুয়েকের বাঁদরটির দেহ ময়নাতদন্ত করিয়ে সন্ধ্যায় দাহ করা হয়।” তাসাটি এলাকার বাসিন্দারা জানান, পাশের দলগাঁ জঙ্গলে প্রচুর বাঁদর রয়েছে। খাবারের আশায় প্রতিদিনই তারা বাগানের ‘শেড ট্রি’গুলিতে চড়ে বসে থাকে। এ দিন একটি বাঁদর রাস্তা পেরনোর সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার পরেই ছুটে আসে বাঁদরের পাল। তাসাটি চা বাগানের শ্রমিক মহাদেব ওঁরাও বলেন, “দুর্ঘটনায় কোনও মানুষের মৃত্যু হলে যে ভাবে লোকজন দেহ ঘিরে রাখেন, এ ক্ষেত্রেও প্রায় তেমনই হয়েছিল। বনকর্মীরা সময়মতো না পৌঁছলে আর যে কতক্ষণ যাত্রীদের আটকে থাকতে হত কে জানে!”
|
|
ভারত-নেপাল সীমান্তে কলাবাড়ি জঙ্গলে
জখম হাতির চিকিৎসা চলছে। ছবি: কার্তিক দাস। |
|
বৃক্ষরোপণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রবিবার বনগাঁয় পথচারীদের মধ্যে গাছের চারা বিলি করল স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘বনগাঁ মহকুমা টিম্বার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’। শহরের রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সেতুর কাছ থেকে শুরু করে যশোহর রোড ধরে বক্সিপল্লি পর্যন্ত এলাকার পথচারীদের মধ্যে মেহগনি, আকাশমণি প্রভৃতি গাছের চারা বিলি করা হয়। পোস্টার, ট্যাবলোয় সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মোট ৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে। মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
হুড়ায় উদ্ধার ময়াল। নিজস্ব চিত্র। |
বাড়িতে ঢুকে পড়া একটি ময়াল উদ্ধার হল অযোধ্যা পাহাড়ে। গত শুক্রবার অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা অখিল সিং সর্দারের বাড়ি থেকে এই ময়ালটিকে উদ্ধার করেন লোকজন। পরে তাঁরা সাপটিকে বনদফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় বিট অফিসার বারসা হাঁসদা বলেন, “ময়ালটি দৈর্ঘে সাড়ে সাত ফুট, ২৫ কিলোগ্রাম ওজনের। শনিবার সাপটিকে অযোধ্যারই সাহেবডি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। হুড়ার চামনিগোড়া থেকেও একটি ময়াল উদ্ধার হয়েছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। মৃত ফিরোজা বিবির (৭০) বাড়ি হলদিয়ার দেভোগে। শনিবার মাঝরাতে বাড়িতে ঘুমের মধ্যেই আচমকা চিৎকার করে সংজ্ঞা হারান ফিরোজা বিবি। পরিবারের লোকেরা প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে সাপের ছোবল দেখে তাঁকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের সুপার হারাধন বর্মন জানান, দেরিতে নিয়ে আসায় ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
|
আগামী ১২ ডিসেম্বর দিনটিকে ‘বিশ্ব পাখি দিবস’ হিসাবে সরকারি ঘোষণার দাবি জানাল বালুরঘাটের সেফ হার্ট এবং সকাল নামে দুটি সমাজসেবা মূলক সংস্থা। ওই দিনটিকে ‘বিশ্ব পাখি দিবস’ হিসাবে চিহ্নিত করে সংস্থার তরফে পাখি সুরক্ষায় সচেতনতার প্রচার ও পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে চিকিৎসক দেবব্রত ঘোষ ও রামেন্দু ঘোষ বলেন, “বছরের প্রায় প্রতিটি দিন কোনও না কোনও বিষয়কে বিশ্ব দিবস হিসাবে পালিত হয়। কিন্তু পাখিদের বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা হয়নি। আমরা চাই সরকার ১২ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব পাখি দিবস’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করুন। ডাহুক, দোয়েল, ঘুঘু, হরিতাল, প্যাঁচা, পানকৌড়ীর মতো পাখি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। চিল, শকুনের মতো পাখিরা প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাখিদের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে সচেতনতার ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
|
রবিবার ফিলিপিন্সে দু’টি বিপন্ন প্রজাতির নতুন পেঁচার সন্ধান পেলেন ম্যানিলার বিজ্ঞানীরা, ক্যামিগুয়িন হক পেঁচা ও সেবু হক পেঁচা।
|
|
মেটে লটোড়া পাখির দেখা মিলল রাজারহাটে। ছবি: ইন্দ্রাণী দাস |
|