মন্দারমণির সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন বারাসত ও কেষ্টপুরের বাসিন্দা তিন মহিলা (২২-৭)। মন্দারমণির মতো শান্ত সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার ঘটনা সত্যিই আশ্চর্যজনক। ৮-১০ বছর আগে বন্ধুদের সঙ্গে যখন মন্দারমণি বেড়াতে যাই, তখন সেখানে ছিল মাত্র একটি হোটেল। তাও ঝাউ, কেয়া ও মন্দার গাছের পিছনে, সমুদ্রতট থেকে একটু ভিতরে। আমরা পাঁচ বন্ধু দাদনপাত্রবাড় থেকে ৬ কিমি পায়ে হেঁটে হোটেলে পৌঁছই। বিস্তীর্ণ সমুদ্রতটে তখন নির্ভয়ে খেলা করত লাল কাঁকড়া। সেই নির্জন সমুদ্রকে কখনওই ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি দেখে অবাক হয়েছি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ঝাউ, পিয়াল, কেয়া ও মন্দার গাছ কেটে সমুদ্রতটে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল ও রিসর্ট। |
একটি সংস্থা তো সমুদ্রের ‘টাইডাল এরিয়া’য় গড়ে তুলেছে বিশাল একটি মন্দির। সমুদ্রের হাই টাইড লাইন থেকে লো টাইড লাইনের মধ্যে যেখানে নির্মাণ দূরস্থান, জনবসতিই কাম্য নয় সেখানে গড়ে উঠেছে শুধু হোটেল বা রিসর্ট নয়, ওয়াটার পার্ক, টয়ট্রেন ও বিশাল কমপ্লেক্স। আর সমুদ্রতটে কাটা তেলে চলা বেশ কিছু মোটরচালিত ভ্যান যাত্রী নিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও দূষণ ছড়াচ্ছে।
সুনামির সময় দেখা গেছে, সমুদ্রের তীরে মানুষের তৈরি বাড়িঘর, হোটেল ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু শাল পিয়াল ও ঝাউয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। আসলে ভরা কোটালের সময় সমুদ্রের জল তট উজিয়ে যতটা পৌঁছয় সেই পর্যন্ত যদি ঝাউগাছে ঘেরা থাকে, তা হলে সমুদ্র কোনও ধ্বংসলীলা চালায় না। কিন্তু টাইডাল এরিয়াতে কোনও অবৈধ নির্মাণ করলেই সমুদ্র ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই যে ভাবে বেআইনি হোটেল ও রিসর্টের কবলে মন্দারমণির সমুদ্রতট বেদখল হয়ে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে দিঘার মতোই মন্দারমণিতে সমুদ্রের গ্রাসে আরও মানুষের মৃত্যু হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০০৯-এ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মন্দারমণিতে ৭২টি হোটেল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। একটি হোটেলও ভাঙা হয়নি, বরং ছোটবড় অসংখ্য হোটেল মন্দারমণির সমুদ্রতট ঘেঁষেই গজিয়ে উঠছে। সমুদ্রের গ্রাস থেকে হোটেলগুলিকে বাঁচাতে দিঘার মতোই বোল্ডার ফেলা শুরু হয়ে গিয়েছে, যা ১০-১২ বছর আগে মন্দারমণিতে ভাবাই যেত না।
রবীন রায়। শ্যামনগর, উত্তর চব্বিশ পরগনা
|
দমদম এয়ারপোর্টে ১ নম্বর গেটের সামনের বাস স্টপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানেই যশোহর রোডের সঙ্গে ভি আই পি রোড মিশেছে। সামনেই এয়ারপোর্ট। শ’য়ে শ’য়ে যাত্রিবাহী, পণ্যবাহী গাড়ি, বাস, ট্যাক্সি বা উত্তরবঙ্গের যাবতীয় বাস এখান থেকেই চলে। একটু দূরেই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। অথচ রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ, অজস্র খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই বাস বা অন্য গাড়ির ক্ষতি হয়ই, সঙ্গে থাকে জ্যাম। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে লোকজন বারাসতের দিকে ও উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য এখানে এসে প্রচণ্ড বিপাকে পড়েন। দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগকারী এই রাস্তার অন্যান্য অংশের অবস্থাও অনেক ক্ষেত্রে খুবই খারাপ।
অতীন গুহঠাকুরতা। নববারাকপুর, কলকাতা-১৩১
|
হাওড়া শহরের জলনিকাশি ব্যবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নত হলেও বহু জায়গায় এখনও নিকাশি বেহাল অবস্থা হয়ে আছে ঘুষুড়িবাবুর বাগানের কাছে। প্রায় সময় দেখা যায়, ড্রেনের নোংরা জল উপচে জি টি রোড ভাসিয়ে দেয়। তখন পথচারী ও যানবাহন এই মলমূত্র মিশ্রিত পচা দুর্গন্ধ জল মাড়িয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া সালকিয়া, বাঁধাঘাট, বেলগাছিয়ার ভাঙা ড্রেনগুলি থেকে নোংরা জল উপচে রাস্তার অবস্থা বেহাল করে। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |
যানবাহনের চাকার জল ছিটকে পথচারীদের জামা-কাপড় নোংরা করে দেয়। ফলে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হওয়াও বিরল নয়। জমা জল থেকে হাওড়া শহরে মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ছে। অনেক সময় দেখা যায়, ড্রেন পরিষ্কারের সময় ড্রেনের ময়লা ও মলমূত্র মিশ্রিত পচা পাঁক রাস্তার উপর রাখা হয়। তার পর দু’এক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তার যে কী দুরবস্থা হয়, তা নিজের চোখে না-দেখলে বোঝা যায় না। তাই মাননীয় পুরপিতার কাছে অনুরোধ, ভাঙা ড্রেনগুলি সংস্কার করে নিকাশি ব্যবস্থাকে সুপরিবাহী করে তোলা হোক।
শ্যামল মান্না। বীরশিবপুর, হাওড়া |