|
|
|
|
সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা সরকারের |
বাড়তি চাল বিলি হবে বিপিএল তালিকার বাইরেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত চাল ‘বিপিএল’ পরিবারের বাইরে থাকা দরিদ্র পরিবারের মধ্যে বন্টনের ব্যবস্থা করল ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত চাল রেশনের মাধ্যমে রাজ্যে বিপিএল কার্ডধারী নয়, এমন দরিদ্র পরিবারগুলিকে কম দামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সব পরিবারগুলি ‘কেন্দ্রীয় নিয়মানুসারে’ বিপিএলভুক্ত নয়, ফলে ‘এপিএলের’ দরে রেশনে সামগ্রী পেতেন।
|
মানিক সরকার |
১৯৯৭-১৯৯৮ সালে রাজ্য সরকারের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ত্রিপুরায় বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৬ হাজার ৮০৯। মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ। অথচ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী ত্রিপুরার বিপিএলকার্ড দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার পরিবারকে। মোট জনসংখ্যার ৪০.৮৬ শতাংশকে। কেন্দ্রীয় সরকার বিপিএল পরিবারভুক্ত সদস্যদের যে সব সুযোগ সুবিধা দেন, তা কেবল পেয়ে থাকেন রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপিএলদের জন্য কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত বরাদ্দের চাল রাজ্যে ৪১ শতাংশ বিপিএল কার্ডধারী দরিদ্র জনগণের বাইরে থাকা আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারগুলির মধ্যে কম মূল্যে বন্টিত হবে।
রাজ্য সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী বিপিএল কার্ডধারী পরিবারের বাইরে যাঁরা অবস্থান করছেন, অথচ তাঁদের আর্থিক অবস্থান বিপিএল পরিবারভুক্তদের সম-মানের, এমন দরিদ্র পরিবারকেও রাজ্য সরকার ‘তালিকাভুক্ত বিপিএল’ বলে ‘চিহ্নিত’ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর থেকেই এই সব পরিবারের জন্য এই অতিরিক্ত চাল বন্টন করা হবে প্রতি কেজি ৬ টাকা ১৫ পয়সা দরে। রাজ্য সরকারের ‘তালিকাভুক্ত বিপিএল’ পরিবারগুলি এত দিন এপিএলের জন্য নির্ধারিত দরে, অর্থাৎ প্রতি কেজি ১০ টাকার কিছু বেশি দরে, রেশন থেকে চাল কিনতেন। প্রসঙ্গত, অগস্ট থেকে বিপিএল কার্ডধারীরা রাজ্য সরকারের ভর্তুকিতে ২ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন রেশনে।
মানিকবাবু জানান, সম্প্রতি কেন্দ্র অতিরিক্ত ২০,৩৬০ মেট্রিক টন ত্রিপুরাকে দেবে বলে জানিয়েছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অতিরিক্ত চাল বিপিএল কার্ড নেই অথচ রাজ্য ‘তালিকাভুক্ত বিপিএল’ আওতাভুক্ত, এমন পরিবারগুলিকে দেওয়া হবে। এতে উপকৃত হবেন ৮৫-৮৬ হাজার পরিবার। এ ধরনের পরিবার রাজ্যে ঠিক কত সংখ্যক রয়েছে, তা নির্ধারণ করার জন্য রাজ্যের মোট ৮টি জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দরিদ্র পরিবার আগে রেশন থেকে যে পরিমাণ চাল পেতেন (২০ কেজি), সেই পরিমাণ চাল এখন পাবেন, কিন্তু ‘কম দামে’। কেন্দ্র এই অতিরিক্ত চাল সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত দেবে। কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হয়েছে, তার পরেও যেন এই অতিরিক্ত পরিমাণে চাল রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়, এ কথাও মুখ্যমন্ত্রী জানান। |
|
|
|
|
|