তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল দিঘায় |
টানা তিন দিনের ছুটিতে সৈকতশহর দিঘায় পযর্টকের ঢল নেমেছে। শনি ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি, আর সোমবার ঈদ। পরপর তিন দিন ছুটি পেয়ে সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছেন লোকজন। শুধু দিঘা নয় মন্দারমণি, তাজপুরেও উপচে পড়ছে পযর্টকদের ভিড়। হোটেল-লজগুলিতে ‘ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই’ রব। একশ্রেণির অসাধু হোটেল মালিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিগুণ, তিন গুণ ভাড়া চাইছেন। নিরুপায় পযর্টকরা অতিরিক্ত ভাড়া গুণেই খুঁজে নিচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। বেশ কিছু হোটেল ভাড়া বাড়িয়ে মুনাফা করছে বলে মেনে নিয়েছেন দিঘার হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব বিপ্রদাস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক কালে দিঘায় পযর্টকদের এত ভিড় হয়নি কখনও। তার সুযোগ নিচ্ছে কেউ কেউ। কিন্তু পর্যটকেরা সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ না জানানোয় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।” বিপ্রদাসবাবুর মতে, “প্রশাসন হোটেল-লজগুলির ভাড়া ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়ার তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক করলে এতটা সমস্যা হত না।” এ দিকে, অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের ঢেউ সৈকতের গার্ডওয়াল টপকে প্রায় ৫-৬ ফুট উপরে চলে আসছিল শনিবার। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে না নামার জন্য মাইকিং করছে দিঘা পুলিশ ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। মহকুমা পুলিশ অফিসার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, দিঘা-মন্দারমণিতে সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে পযর্টকদের। পাশাপাশি নুলিয়াদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
|
অর্থবর্ষে খুচরো ঋণ বাড়াতে উদ্যোগী এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চলতি আর্থিক বছরে বাড়তি খুচরো ঋণ দেওয়ায় বিশেষ জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। এ জন্য নতুন ৬টি বুটিক বা ঋণদান কেন্দ্র চালু করছে তারা। ওই সব কেন্দ্র থেকে শুধু খুচরো ঋণ প্রক্রিয়া করা হবে। ব্যাঙ্কের সিএমডি জে পি দুয়া বলেন, “অর্থবর্ষে খুচরো ঋণ ২০ শতাংশ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।” এ বছরেই এটিএমের সংখ্যা ১ হাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছে ব্যাঙ্ক। বর্তমানে ব্যাঙ্কের ৩১৬টি এটিএম রয়েছে। নতুন ২৫০টি শাখা খোলার পরিকল্পানও করেছে তারা। এ দিকে প্রথম ত্রৈমাসিকে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক তার নিট মুনাফা আগের বারের থেকে ২২.৯৪% বাড়িয়ে ৫১৪ কোটি টাকা করেছে। মোট ব্যবসার পরিমাণ ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। যা আগের বারের থেকে ১৪.৯৫% বেশি। এই সময়েই ব্যাঙ্কে নতুন করে ৫৯০ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ তৈরি হয়েছে। দুয়া জানান, এর মধ্যে ২৩০ কোটি টাকা কৃষি ক্ষেত্রে এবং ২২৮ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। তবে ২৮৯ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ আদায়ও হয়েছে। সুদ বাবদ খরচ কমাতে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক বড় অঙ্কের আমানত কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুয়া জানান, “বর্তমানে মোট আমানতের ৩০% এ ধরনের আমানত। যেখানে সুদের হার তুলনায় বেশি। চলতি আর্থিক বছরে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি। খুচরো আমানত সংগ্রহ ছাড়াও সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও কারেন্ট অ্যাকউন্ট খোলার উপরেই আমরা জোর দেব।” |