শনিবার সকালে খবরটা শুনে খুব খারাপ লাগল। অরুণ সিংহ, আমাদের অরুণদা আর নেই। ভুগছিলেন অনেক দিন ধরে। তবু কথাটা শুনে অনেক স্মৃতি মনের মধ্যে ভিড় করল। প্রথমেই মনে পড়েছিল ১৯৪৬-৪৭। তখন মোহনবাগানে প্রথম এসেছি। মন দিয়ে দেখতাম সেই সময় ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফরোয়ার্ড অরুণদা-র খেলা। ’৪৭-এর কলকাতা লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। আমরা তখন সবাই জানতাম, পরের বছর লন্ডন অলিম্পিকে অরুণ দা’র জায়গা পাকা। সেই স্বপ্ন নিয়ে উনিও তৈরি হচ্ছিলেন। বাধ সাধল দুর্ঘটনা। খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পান অরুণদা। চোটটা ভাল ভাবে সারেনি। ফলে অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগটাও নষ্ট হয়। ফুটবলার হিসেবে অরুণদাকে সে ভাবে পেলাম না। পরে অবশ্য উনি দারুণ ভাবে ফিরে আসেন। কোচ হিসেবে। জর্জ টেলিগ্রাফে কোচিং শুরু করলেও মোহনবাগান কোচ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। আমিও ওনাকে মোহনবাগানের ছেলে বলেই মনে করতাম। ’৬০-এর দশকে ওঁর কোচিংয়েই মোহনবাগানে খেলেছি। তখন আমি অধিনায়ক। ’৬২-’৬৫ পরপর চার বার কলকাতা লিগ, টানা তিন বার ডুরান্ড জিতেছে মোহনবাগান। খবরটা শোনার পর থেকে এই সব পুরনো কথাই আজ মনে পড়ছে। অন্য খেলায়: রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ক্রীড়া বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স।
|
বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচন নিয়ে ডামাডোল চলছে। এই আবহের মধ্যেই হঠাৎ-ই ভলিবল সংস্থার নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ময়দান। দীর্ঘ ২২ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে ভলিবলে। আজ রবিবার সংস্থার তাঁবুতেই নির্বাচন। সতেরোটি পদ। ভোট দেবেন ৬০ প্রতিনিধি। যুযুধান দু’পক্ষেরই দাবি, তাঁরাই নির্বাচনে জিতবেন। মূল লড়াই হচ্ছে দু’টি পদে। সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদে। দীর্ঘদিন সচিব পদে থাকা পল্টু রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়ছেন প্রাক্তন জাতীয় খেলোয়াড় প্রকাশ রায়। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ কোষাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ দাস। ধুন্ধুমার নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপান-উতোরও। বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা প্রকাশবাবু যেমন অভিযোগ করেছেন, “সংস্থার টাকা নয় ছয় হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। টেন্ডার না ডেকে সব কাজ দেওয়া হয়েছে। সংস্থায় কোনও গণতন্ত্র নেই। সচিবের কথাই শেষ কথা। উনি একার হাতেই সব খরচ করেন। এ সব পরিবর্তনের জন্যই নির্বাচনে লড়তে নেমেছি।” পাল্টা সচিব পল্টুবাবু জবাব দিয়েছেন, “নিয়মিত সংস্থায় অডিট হয়। তা হলে নয়ছয় বলা হচ্ছে কেন? টেন্ডার না ডাকলেও সব কিছু কমিটির সম্মতি নিয়েই করা হয়। বিভাগীয় সচিবদের কাছে বাজেট চাওয়া সত্ত্বেও ওরা দিতে পারেন না। এখন নোংরা আক্রমণ করছেন। এর কোনও ভিত্তি নেই।”
|
জাকার্তার সোনাজয়ী দল বনাম ফেডারেশনের লড়াই নতুন মোড় নিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের আশ্বাসে জেহাদ থেকে সরে এলেন চুনী গোস্বামীরা। শনিবার ’৬২ সোনাজয়ী দলের অধিনায়ক বললেন, “২১ অগস্ট ফেডারেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। প্রফুল্ল পটেল কথা দিয়েছেন, আমাদের দাবি বিবেচনা করে দেখবেন। ওঁর কথাতেই আমরা যেতে রাজি হয়েছি।” আশ্বাসের হাত বাড়িয়েছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাসও। শুক্রবার তিনিও ফোন করে চুনীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে বরফ গললেও, ভাঙাচোরা দল নিয়ে যেতে হচ্ছে চুনীকে। ফ্রাঙ্কো, প্রশান্ত সিংহ, প্রদ্যোত বর্মন, অরুময় নৈগম, ইথিরাজ কিংবা চন্দ্রশেখর অনুষ্ঠানে যেতে রাজি হলেও, তুলসীদাস বলরাম যাচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দাবি না মানা হলে যাব না। ফেডারেশন আগেও বহুবার কথা দিয়ে ভুলে গিয়েছে। চুনীরা যাচ্ছে যাক। লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে আমি যাব না।” পুরনো সতীর্থকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন চুনী। কিন্তু বলরাম নিজের অবস্থান থেকে সরতে চাইছেন না। ফ্রাঙ্কো অধিনায়কের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, কিন্তু বন্ধু বলরামকেও ফেলতে পারছেন না। গোয়া থেকে ফোনে ফ্রাঙ্কো বললেন, “চুনীর সঙ্গে প্রথম থেকে ছিলাম। এখনও আছি। কিন্তু বলরাম যা বলছে, সেটাও ঠিক। যদি ফেডারেশন আবার প্রতারণা করে আমরা চুনীকেই দায়ী করব।” চুনী অবশ্য তাঁর সিদ্ধান্ত বদলানোর কারণ ব্যাখা দিতে গিয়ে বললেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবিশ্বাস করব কী করে? উনি এত আন্তরিক ভাবে বলেছেন যে ওঁর কথা ফেলতে পারলাম না।”
|
রাজীব খেলরত্ন পাচ্ছেন লন্ডন অলিম্পিকের দুই পদকজয়ী বিজয় কুমার ও যোগেশ্বর দত্ত। এঁদের পাশে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ক্যানসারকে হারিয়ে জাতীয় দলে ফেরা ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহকে। অর্জুন পাচ্ছেন একটুর জন্য লন্ডনে পদক ফস্কানো বাঙালি শু্যটার জয়দীপ কর্মকারও। আজ দিল্লিতে এই কথা জানিয়েছেন রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। অর্জুন পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় এ বার রয়েছেন পঁচিশ জন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী ও বোম্বাইলা দেবী। আছেন হকি তারকা সরদারা সিংহ।
|
তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানছেন হাসিম আমলা (৫৭ ন.আ.)। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ১৪৫-৩। দুই ওপেনার অ্যালভিরো পিটারসেন (২৪), গ্রেম স্মিথ (২৩), জাক কালিস (৩১) ব্যর্থ। এর আগে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩১৫ রানে। স্মিথরা এগিয়ে ১৩৯ রানে। |