আস্থা ভোটে কেতুগ্রামের মৌগ্রামে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে অপসারিত করল সিপিএম ও কংগ্রেস। শুক্রবার দুপুরে মৌগ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ৯ জনই ভোট দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭টি আসন পেয়ে মৌগ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে সিপিএম। রাজ্যে সরকার বদলের পর সিপিএমের ৩ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন কংগ্রেসের হাসি মাঝি এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ক্ষমতায় আসার কিছু দিন পর থেকেই দুই জোট শরিকের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে গোলমাল লেগেই থাকত। চলতি মাসের ৬ অগস্ট উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব করে ব্লক অফিসে চিঠি দেন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৯ জন সদস্য। উপপ্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর পার্থবাবু বলেন, “সিপিএম ও কংগ্রেস হাত মিলিয়ে আমাকে সরিয়ে দিল।” প্রসঙ্গত, পার্থবাবুও কংগ্রেসের টিকিটেই পঞ্চায়েতে জিতেছিলেন বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। যদিও স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মলয় রায় অবশ্য দাবি করেন, “সিপিএম বলে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তারা ইতি মধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি, এই যা।”
|
মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কবর থেকে দু’দিন পরে এক বালকের দেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠাল পুলিশ। মেমারির শঙ্করপুরের ঘটনা। মৃতের নাম আকাশ রায় (৭)। শঙ্করপুরে তার বাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক ধরে আকাশের বাবা ও মা আলাদা থাকেন। আকাশ তার বাবার সঙ্গে শঙ্করপুরে থাকত। তার বাড়ির লোকেদের দাবি, সোমবার সে গ্রামের পাশের একটি সেচখালে পড়ে যায়। দু’দিন পরে তার দেহ এলাকার মগরা ক্যানেলে ভেসে ওঠে। ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশে খবর দেওয়া হয়নি। ময়না তদন্তে না পাঠিয়েই তাঁর আত্মীয়েরা দেহটি গ্রামের শ্মশানে মাটি খুঁড়ে চাপা দেন। বৃহস্পতিবার জামালপুরের নবগ্রামের বাসিন্দা ওই বালকের মা টুম্পা রায় মেমারি থানায় গিয়ে ছেলের মৃত্যুর খবর জানান। পুলিশের কাছে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, মোটেই দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু হয়নি। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকার আশঙ্কার কথা তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশের কাছে তিনি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের আর্জি জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শুক্রবার আকাশের দেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ হোসেন মির্জা বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতের বাবা সজল ও মা টুম্পা গত পাঁচ বছর ধরে পৃথক বাস করেছেন। আকাশ অবশ্য সেই সময় থেকে বাবার সঙ্গেই থাকত। তাই ওর মৃত্যু নিয়ে মায়ের অভিযোগকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মঙ্গলকোট থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই যুবতী আদিবাসী পাড়াতেই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে ৬ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। তরুণীটি কিছু বলার আগেই ওই দুষ্কৃতী দলের দু’জন হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে। তখন ধস্তাধস্তির মধ্যে মুখ থেকে হাত সরে যেতেই ওই তরুণী চিৎকার করতে শুরু করেন। এর পরে দুষ্কৃতীরা পালায়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, ওই দুষ্কৃতী দলের কয়েকজন তরুণীর পূর্ব-পরিচিত। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ধৃতেরা হলেন সাজাহান মল্লিক, হাসু শেখ ও মহিম শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।”
|
ঈদ ও দুর্গাপুজোয় বোনাসের দাবিতে শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের চেম্বারে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষ্ণসায়র পরিবেশ কাননের কর্মীদের একাংশ। তবে উপাচার্য বলেছেন, “ওই পার্ক পরিচালনার কাজে কিছু সমস্যা রয়েছে। তা না মেটা পর্যন্ত কর্মীদের বোনাস দেওয়া যাবে না।” এই পরিবেশ কাননে প্রায় ৫০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের তরফে বাপ্পা চক্রবর্তীর দাবি, “বোনাস দিতেই হবে। তা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।” ওঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শৈলকুমার ঘোষ বলেন, “ওঁদের বোনাস না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অমানবিক। প্রতি বছর ওঁরা বোনাস পেয়ে এসেছেন। এ বার কেন পাবেন না?”
|
ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বৈদ্যপুর এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করল কালনার পুলিশ। ধৃত বিশ্বনাথ সোরেন ও সুনীল মান্ডির বাড়ি কালনার মিরহাটে। আব্দুল রহমান নামে অপর ধৃতের বাড়ি নফরপুরে। তাদের কাছে একটি বন্দুক ও দু’রাউন্ড গুলি মিলেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা নদিয়ার ধানতলার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত। |