উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠনের দু’দশক পরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিবারের লোকজনদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। স্থানীয় বিধায়ক তহবিলের ১১ লক্ষ টাকা ওই কাজে খরচ হবে। ইতিমধ্যে পূর্ত দফতর বিশ্রামাগারের ভবন তৈরির কাজ শুরু করেছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের আশা, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “দীর্ঘদিন থেকে জেলার বিভিন্ন মহলে হাসপাতাল চত্বরে বিশ্রামাগার তৈরির দাবি উঠেছে। কিন্তু টাকার অভাবে এতদিন ওই কাজ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত তাঁর তহবিলের টাকা বরাদ্দ করায় সুবিধা হয়েছে। আশা করছি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি বিভাগের সামনে ওই বিশ্রামাগার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে রোগীর পরিবারের কয়েকশো লোকজনের একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে তাঁরা রাতে থাকতে পারবেন। থাকবে পানীয় জল ও শৌচাগার।” চিকিৎসক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্রামাগার না-থাকায় রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়ায়। সময় মতো চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বিশ্রামাগার তৈরি হলে ওই সমস্যা থাকবে না।” ১৯৯২ সালে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভাগ করে উত্তর দিনাজপুর জেলা গঠন করা হয়। ওই সময় রায়গঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল জেলা হাসপাতালের মর্যাদা পায়। বর্তমানে হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিনশো শয্যা রয়েছে। শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়। দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলার বহু রোগী সেখানে চিকিৎসার জন্য যান। স্থানীয় বিধায়ক মোহিতবাবু বলেন, “বিশ্রামাগারের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। বামফ্রন্ট সরকারের উদাসীনতায় এতদিন ওই কাজ হয়নি। নিজের তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় টাকা দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।” বিধায়কের ভূমিকার খুশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য। তিনি বলেন, “হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তৎপর। তিনি ওই বিষয়ে বিধায়কদের নিজের তহবিলের টাকা খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মোহিতবাবু রোগীর পরিজনদের স্বার্থে জেলা হাসপাতাল চত্বরে বিশ্রামাগার তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করায় ভাল হল।” |