এসইউসি, সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের মতো বামপন্থী দলকে নিজেদের ছাতার তলায় টানতে ব্যর্থ হলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মিছিলকে সামনে রেখে তৃণমূল-বিরোধী বৃহৎ বাম মঞ্চ গড়ার উদ্দেশ্যে বিমান বসু নিজে লিবারেশন অফিসে গিয়েছিলেন। আলোচনায় বসেছিলেন এসইউসিআই সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের সঙ্গেও। প্রাথমিক ভাবে আলোচনা বেশ কিছুটা ‘ইতিবাচক’ হলেও সোমবার লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ নিজেই বাম চেয়ারম্যান বিমানবাবুকে ফোনে জানিয়ে দেন, তাঁরা সিপিএমের সঙ্গে মিছিলে পা মেলাতে পারছেন না। অন্যদিকে, এসইউসি-র পক্ষ থেকে বিমানবাবুকে কিছু জানানো হয়নি। উনিও কিছু জানতে চাননি।
আগামী ৩১ অগস্ট খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিবসের কর্মসূচি এবং ১ সেপ্টেম্বরের মিছিল নিয়ে এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠক বসে। সেখানেই বিমানবাবু জানান, এসইউসি ও লিবারেশন তাঁদের সঙ্গে থাকছে না। ওই দুটি দল ছাড়াও সিপিআই (এম-এল) নেতা সন্তোষ রানার সঙ্গেও বিমানবাবু কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনিও পরে তাঁকে কিছু জানাননি। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিমানবাবু বলেন, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তা হলে একলাই চলতে হবে। আমরা একলাই চলব। ভবিষ্যতে দেখা যাবে এই দলগুলি আমাদের সঙ্গে আসে কিনা।” ১ সেপ্টেম্বরের মিছিল সফল করতে সকালে আলিমুদ্দিনে বিভিন্ন জেলার গণ-সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। ঠিক হয়, মিছিল শুরু হবে ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে। শেষ হবে উত্তর কলকাতার দেশবন্ধু পার্কে। এই মিছিলের মাধ্যমে ফ্রন্ট দেখিয়ে দিতে চায়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক বছর পরও তাঁদের সঙ্গে বহু মানুষ রয়েছেন।
রাজ্যে গণতন্ত্রের উপর ‘আক্রমণে’র তীব্র বিরোধিতা করে ওই মিছিলে কেন লিবারেশন তাঁদের সঙ্গে নেই, তার কোনও রকম ব্যাখ্যা বিমানবাবু দেননি। লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থবাবু বলেন, “আমরা বিমানবাবুর সঙ্গে একমত। কিন্তু অতীতে তাঁরাও গণতন্ত্রকে আক্রমণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সিপিএম প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছে। অর্থাৎ তারা মুখে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করলেও ওঁরা নয়া উদার অর্থনীতির পক্ষে। তাই আমরা ওঁদের সঙ্গে নেই।” |