|
|
|
|
নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ঘিরে পাঁশকুড়ায় তৃণমূলে কোন্দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বেসরকারি মোবাইল ফোনের টাওয়ারে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল পাঁশকুড়ায়।
শুধু কোন্দলই নয়, সোমবার দুপুরে পাঁশকুড়ার চৈতন্যপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কানাসি বৃন্দাবনচক গ্রামে একদল বহিরাগত তৃণমূল সমর্থক ওই মোবাইল টাওয়ারে হামলাও চালান। দলীয় পতাকা ছাড়াও লাঠিসোটা ছিল তাঁদের হাতে। মোবাইল টাওয়ারের চত্বরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা জড়ো হয়ে বাধা দিলে অবশ্য পিছু হঠেন বহিরাগতরা। অধিকাংশ পালিয়ে গেলেও পাঁচ জনকে ধরে ফেলা হয়। তাঁদের আটকে রেখে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসী। প্রায় ঘণ্টা তিনেক আটকে থাকার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হস্তক্ষেপে বিকেল ৩টে নাগাদ মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান বহিরাগত ওই পাঁচ তৃণমূল সমর্থক।
টাওয়ারে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ ঘিরে দলেরই সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের কথা স্বীকার করে তৃণমূলের পাঁশকুড়া-১ ব্লক সভাপতি দীপ্তিপ্রসাদ জানা বলেন, ‘‘জোর করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় দলেরই কিছু সমর্থক জড়িত বলে জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানান হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার কানাসি বৃন্দাবনচক গ্রামে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ারে গত মার্চ মাসে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়। এদের মধ্যে একজন জমিদাতা পরিবারের, অন্য জন স্থানীয় যুবক। এই দু’জনের নিয়োগে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সমর্থন থাকলেও দলের শ্রমিক সংগঠনের একাংশ অন্য দু’জনকে নিয়োগের দাবি জানায়। এই নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল বাধে। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সমর্থক প্রায় ৫০ জন দলীয় পতাকা ও লাঠি নিয়ে মোবাইল টাওয়ারে হামলা চালান বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য শশাঙ্ক বেরা বলেন, “টাওয়ারে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগে স্থানীয় বেকারদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দলেরই কিছু লোক জোর করে অন্যদের নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন। বহিরাগত ওই লোকজন হামলা চালান এ দিন। পাঁচ জন ধরাও পড়েন। তাঁদের গ্রেফতারের দাবি তোলে গ্রামবাসীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা হস্তক্ষেপ করি। ওই পাঁচ জন লিখিত ভাবে দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে হামলা না করার প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রামবাসীরা ছেড়ে দেন।’’ |
|
|
|
|
|