|
|
|
|
বধূকে ধর্ষণে ধৃত সিপিএমকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ডাকাতি করতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সবংয়ের গোবিন্দপুরের ঘটনা। রবিবার রাতে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ভরত সাঁতরা। বাড়ি কেরুড়বাঁধে। সোমবার তাঁকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ২৭ অগস্ট পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এ দিন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ভেমুয়া পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে একদল দুষ্কৃতী। গৃহকর্তাকে মারধর করে বেঁধে রাখা হয় এবং সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা বলে অভিযোগ। তার আগেই ওই বাড়ির এক গৃহবধূকে ওই দুষ্কৃতীরা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রথমে বাড়িতে ডাকাতির খবর জানলেও রবিবার রাতে পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, বাড়ির এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই রাতেই সবং থানায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি-সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা। ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনায় ৩ জনের নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের বক্তব্য, যাঁর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে, তিনি দলের সক্রিয় কর্মী। অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে সিপিএমকর্মীরা জড়িত। জেলা তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। কংগ্রেস অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।” অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাধন মাইতি বলেন, “অভিযুক্তদের আড়াল করার প্রশ্নই ওঠে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আমরাও দোষীদের শাস্তি চাই।” সিপিএমের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগ করছে। সিপিএমের সবং জোনাল কমিটির সম্পাদক অমলেশ বসু বলেন, “ওই এলাকায় তৃণমূলকর্মীরা যা খুশি করছেন। শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছে, গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করছে। আমাদের কর্মীদেরও নজরবন্দি রাখা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “ধৃত ভরত সাঁতরা নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|