রাজনৈতিক চাপান-উতোরের মধ্যেও আর্থিক সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের সামনে কিছুটা আশার আলো। দশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে। অবশ্য এগুলি হয় কংগ্রেস শাসিত, কিংবা ইউপিএ সরকারের শরিক দলের নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি, একক ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ভারতে ৫১ শতাংশ মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছে ছ’টি বিদেশি সংস্থা।
বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের আপত্তি ছাড়াও স্থানীয় সংস্থা থেকে ৩০ শতাংশ কাঁচামাল কেনা নিয়ে সরকারি নির্দেশে আপত্তি তুলেছে অনেক বিদেশি সংস্থাই। তবে তা মূলত একক ব্র্যান্ডের বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে। বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাদের আপত্তি নেই বলে ওই দশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। আজ লোকসভায় এ কথা উল্লেখ করেন শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। প্রসঙ্গত, গত ৮ অগস্টই সিন্ধিয়া রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, দিল্লি, মণিপুর, দমন-দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলি খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নিতে সায় দিয়েছে। কিন্তু, আজ তিনি ঘোষণা করেন, আরও ৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রকাশ্যে কেন্দ্রের এই নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। রাজ্যগুলি হল: মহারাষ্ট্র, অসম, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্র প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। এ ব্যাপারে প্রেস বিবৃতিও দিয়েছে তারা। দ্রুত এই নীতি রূপায়ণের দাবিও তুলেছে তারা। যদিও এগুলি সবই কংগ্রেস শাসিত, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স সরকার কেন্দ্রে ইউপিএ-র শরিক দল। তবে অপর শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখনও এই নীতির বিরোধী। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ৫১ শতাংশ বিদেশি লগ্নিতে সায় দিয়েছিল।
পাশাপাশি, একক ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ১০০% বিদেশি লগ্নিতে কেন্দ্র চলতি বছরের জানুয়ারিতে সায় দিলেও স্থানীয় সংস্থা থেকে কাঁচামাল কেনার শর্ত কেন্দ্র বেঁধে দেওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে অনেক সংস্থাই। এ পর্যন্ত আবেদন করেছে সুইডিশ আসবাব সংস্থা আইকিয়া ও ব্রিটিশ জুতো সংস্থা পেভার্স। সেই কারণেই ৫১% মালিকানার মধ্যেই ব্যবসা সীমিত রাখতে চেয়ে আবেদন করেছে ছ’টি সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছে: বস্ত্র সংস্থা টমি হাইফ্লায়ার, পোশাক সংস্থা ব্রুক্স ব্রাদার, গয়নার ক্ষেত্রে দামিয়ানি ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। |