দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই পুণ্যার্থীর। শিশু-সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় (৩৮) ওরফে বাপি। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় ও বোলপুর থানার চন্দনপুরের রবীন্দ্র বর্মন (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পিকআপ ভ্যানে করে সোমবার তারাপীঠে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার ১১ জন বাসিন্দা। ভোর পাঁচটা নাগাদ দুবরাজপুর থানা এলাকার গোপালপুর মোড়ের কাছে, পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে প্রথমে ধান বোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ফের পিছন থেকে একটি দশ চাকার ট্রাক ওই পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় ছিটকে পড়েন জগন্নাথবাবু। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। |
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দুবরাজপুর গ্রমীণ হাসপাতালে পাঠান পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আঘাত গুরুতর হওয়ায় সকলকেই দুবরাজপুর থেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিকে, দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছুক্ষণ ওই রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। দুর্ঘটনায় জখম উত্তম পোদ্দার, সুরেশ সিংহরা বললেন, “আমাদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। তারাপীঠে পুজো দিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুর্ঘটনাটি ঘটে গেল।” পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত পিকআপ ভ্যান ও ধানের ট্রাকটিকে আটক করেছে।
অন্য দিকে, রবিবার বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের জনা পনেরো পুণ্যার্থী হেঁটে বক্রেশ্বরে জল আনতে যান। রাত ১১টা নাগাদ ফেরার পথে পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ইলামবাজারের ধরমপুর মোড়ের কাছে একটি ডাম্পার রবীন্দ্রবাবুকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। আহত ৫ জনকে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, ওই ডাম্পারটিকে আটক করা হয়েছে। চালক ও খালাসি পলাতক। |