কঙ্কালীতলা লাগোয়া চক দোনাইপুরে কালীতলায় হাঁড়িকাঠের কাছে কাটা মুণ্ডু ও দেহ মেলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত। গত শুক্রবার ওই নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য বলেন, “অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত, ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক প্রিয়ব্রত দত্ত অভিযুক্ত তিনজনকেই বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন।” এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অশোক ধর। মামলার রায় নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যদিও বীরভূম জেলা সরকারি আইনজীবী রঞ্জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলায় মোট ২৬ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছিল। কেউই খুনের বিষয়ে জানাতে পারেননি। উদ্ধার হওয়া জামা প্যান্টে লেগে থাকা রক্তের পরিমাণও পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) বোলপুর থানার কঙ্কালীতলা লাগোয়া চক দোনাইপুরের কালীতলার হাঁড়িকাঠে ও তার থেকে খানিকটা দূরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কাটা মাথা ও দেহের বাকি অংশ মিলেছিল। পরে জানা যায় নিহত ব্যক্তি ছিলেন বোলপুর শুঁড়িপাড়ার আনন্দপল্লির বাসিন্দা পরেশ বাগদীর (৪০)। তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী বাগদির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পরেশবাবুর বন্ধু কালো সরেন এবং বাবুলাল মুর্মু ও দুলাল মুর্মু নামে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতেরা প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছিলেন। |