উন্নয়ন শিকেয় ওঠার অভিযোগে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসী। সোমবার তৃণমূলের নেতৃত্বে প্রায় কয়েকশো গ্রামবাসী বৈকুণ্ঠপুর ২ পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন। তাঁরা প্রথমে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
বর্ধমান ২ ব্লকের এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম। স্থানীয় বাসিন্দা হেমন্ত খানের অভিযোগ, “এই পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের আওতায় পুকুর ও রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। শিশু বিকাশ প্রকল্পের কোনও কাজই হচ্ছে না। ইন্দিরা আবাস যোজনার কাজও বন্ধ।” স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন ঘোষের দাবি, “আমরা শুনেছি, এই পঞ্চায়েতে ৫৬ লক্ষ টাকা এসে পড়ে রয়েছে। কোনও কাজই হয়নি। এমনকী, একটি শৌচাগারও অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী মিতা দাসের অভিযোগ, “টানা ন’মাস ধরে সিপিএমের এই পঞ্চায়েতে কোনও কাজই হচ্ছে না। এই বর্ষায় বিলি করতে ব্লক অফিস থেকে কিছু ত্রিপল পাঠানো হয়েছিল। |
দু’মাস ধরে পঞ্চায়েত প্রধান রূপময় ঘোষ অনুপস্থিত থাকায় ত্রিপল বিলি হয়নি। তাই স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে এই প্রতিবাদে আমরাও সামিল হয়েছি।” তৃণমূল নেতা বাবলু পাল বলেন, ‘‘প্রধান, বিডিও এবং মহকুমাশাসকের কাছে আমরা এই অচলাবস্থা নিয়ে দরবার করেছি। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে মানুষ তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। আমরা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও এই অচলাবস্থা নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।”
বর্ধমান-২ বিডিও গোবিন্দ ভট্টাচার্য বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে কাজকর্ম নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। প্রধানও ছুটিতে রয়েছেন। তাই অন্য পঞ্চায়েতে থেকে কর্মী নিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” প্রধান রূপময়বাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। |