|
|
|
|
আলো নেই, সন্ধে হতেই বাজার ফাঁকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
সন্ধে নামতে না নামতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর সেই সঙ্গে খরিদ্দারদের আসা-যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায় গোকর্ণ বাজারে। অথচ এই একটিই বাজারের উপরে নির্ভর করে থাকতে হয় এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষকে। কবে থেকে রাস্তায় আলো নেই তা মনে করতে পারছেন না কেউই। সামনেই ঈদ। শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর কেনাকাটাও। সারা দিন ভিড় উপচে পড়ছে বাজারে। কিন্তু সূর্য ডুবলেই একেবারে খাঁ খাঁ করে বাজার। অন্ধকারে ওই রাস্তায় চলাফেরা করাই তো বিপজ্জনক! বছর খানেক ধরেই বিকল হয়ে রয়েছে পথবাতি। পঞ্চায়েতের কাছে এই নিয়ে বহুবার গিয়েছেন গোকর্ণ বাজারের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, বছর পেরোলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অভিযোগ শুধু আলো নিয়েই নয়। বাজারে নিকাশির কোনও ব্যবস্থা না থাকায় নোংরা জল আর আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাজারে। এক বার অবশ্য প্রশাসনের তরফে নর্দমা তৈরি করা হয়েছিল। তবে দেখভাল তো দূরের কথা, নিয়মিত পরিষ্কারও হয় না ওই নর্দমা। দিনের পর দিন নোংরা জমে পচা দুর্গন্ধে বাজারে টেঁকাই দায় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আলো নেই, নোংরা জলে থইথই করছে বাজার। কোনও মতে নিজেদের দোকানের সামনেটুকুতে আলোর ব্যবস্থা করেছেন অনেক ব্যবসায়ীই। কিন্তু অন্ধকারে ডুবে থাকা বাজারে এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। এক ব্যবসসায়ী প্রিয়লাল দাস বলেন, “নিরাপত্তা নেই, মার খাচ্ছে ব্যবসা। রাতের দিকে বাজারে তো কেউ আসছেই না। প্রশাসন যদি উদ্যোগী না হয় আমরা দিনের পর দিন এ ভাবে ব্যবসা করব কী করে?” গোকর্ণ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের মানোয়ারা বিবি বলেন, “পথবাতি নিয়ে ওই এলাকায় কিছু সমস্যা রয়েছে। টাকার অভাবে ওই পথবাতি এত দিন মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুজোর আগেই ওই বাজারে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। ওই বাজারের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হবে।” |
|
|
|
|
|