|
|
|
|
পলাতক তরুণীর সন্ধান শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
অযোধ্যার সঞ্জয় গোস্বামী বা পশ্চিম মেদিনীপুরের কৌশিক বারিকের পরে এ বার ত্রিপুরার এক তরুণী। বাড়ি থেকে পালিয়ে সঞ্জয়, কৌশিকের মতো তিনিও নবদ্বীপকেই আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর বাড়ির লোক। ওই তরুণীর বাড়ি আগরতলায়। তিনি বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
তবে ওই তরুণীর বাড়ির লোক ৬ অগস্ট তিনি নবদ্বীপে এসেছেন বলে দাবি করলেও রবিবার পর্যন্ত তাঁকে শহরের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। নবদ্বীপ থানার আইসি শঙ্করকুমার রায়চৌধুরী বলেন, “ওই তরুণীর বাড়ির লোকজন দাবি করছেন, তিনি নবদ্বীপেই কোনও একটা মঠে রয়েছেন। কিন্তু যে মঠের নাম করা হচ্ছে, তেমন কোনও মঠ শহরে নেই। ওই তরুণীর সন্ধান পাওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” ওই তরুণীর মাসতুতো দাদা প্রণব রায় আশঙ্কা করছেন, “বোনকে পাচার করে দেওয়া হতে পারে। কারণ আগরতলা থেকে প্লেনে সে কলকাতা এসেছে বলে আমরা জানি। তবে ওই নামে ৫ অগস্ট কোনও যাত্রী আগরতলা থেকে কলকাতা আসেননি বলেও আমরা খবর পেয়েছি। সেক্ষেত্রে অন্য যে নামে সে এসেছে, সেই নামের নকল পরিচয়পত্র কী ভাবে তৈরি করা হল? কেনই বা তাকে নাম ভাঁড়িয়ে নিয়ে আসা হল?” আইসি শঙ্করবাবু বলেন, “গোটা বিষয়টাই আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি অন্য নামে নবদ্বীপের কোথাও ওই তরুণী থেকে থাকেন, সে খোঁজ খবরও নেওয়া হচ্ছে।” কী করে জানলেন ওই তরুণী নবদ্বীপে এসেছে এবং বিমানেই এসেছে? প্রণববাবু বলেন, “৫ অগস্ট থেকে বোন নিখোঁজ। ৬ অগস্ট আগরতলায় আমার মা’কেই ফোন করেছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ফোন নম্বরটি নবদ্বীপের মণিপুর এলাকার একটি বুথ থেকে। এত অল্প সময়ে কেবল বিমানে করেই সে এখানে আসতে পারে।” পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা শরদিন্দু ভট্টাচার্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ওই তরুণী চেয়েছিল বিশ্বভারতীতে বি মিউজ পড়তে। কিন্তু আর্থিক কারণে এক মাত্র সন্তানের সেই ইচ্ছা রাখতে পারেননি তাঁর বাবা-মা। এই কারণে বেশ মনমরাই হয়ে থাকত পায়েল। কিছু দিন ধরে সে আগরতলার কিছু মঠ-মন্দিরেও যাতায়াত করত। নবদ্বীপ থেকে বাড়িতে ফোন করে সে বলেছে, সে আর সংসারে ফিরবে না। সে সন্ন্যাস নিয়েছে। বাড়িতে যে চিঠি লিখে এসেছে, তাতেও বলেছে সঙ্গীত নিয়ে স্বপ্ন পূরণ হবে না বলেই সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বাড়ি ছেড়ে বেরোনোর আগের রাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটিও হয়।
প্রণববাবু আগরতলা থেকে এসে খোঁজখবর করছেন নবদ্বীপ-মায়াপুর জুড়ে। ওই তরুণীর গলায় একটি গভীর কাটা দাগ রয়েছে। সেই মতো পুলিশও খোঁজ করছে। প্রণববাবু বলেন, “বোন প্রাপ্তবয়স্ক। তাই যদি ও সন্ন্যাসী হতে চায়, তা হলে ওকে রোখা যাবে না। আমরা শুধু জানতে চাই, ও যেখানে রয়েছে, সেখানে ভাল রয়েছে তো?” |
|
|
|
|
|