খানাখন্দে বেহাল জাতীয় সড়ক, দুর্ভোগ
রাজ্য সড়ক চলাচলের অযোগ্য। দুর্দশার অন্ত নেই জাতীয় সড়কেরও। দেখভালের অভাবে খানা-খন্দে ভরেছে রাস্তা। বর্ষা কালে ভোগান্তি আরও বেশি। জল জমে থইথই রাস্তা।
বহরমপুর-লালগোলা রাজ্য সড়কের ছবিটা এমনই। পাশাপাশি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থাও কার্যত একই। পূর্ত দফতর অবশ্য লালগোলা অংশের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা মেরামতের কাজও চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। পূর্ত দফতরের (বহরমপুর ডিভিশন-২) নির্বাহী বাস্তুকার অর্জুন মণ্ডল বলেন, “রমজান মাস চলছে। দিনমজুরের অভাব রয়েছে। এই ক’দিনে যতটা কাজ এগোনোর কথা ছিল, তা হয়নি। সেই সঙ্গে আচমকা বৃষ্টিও সংস্কারের কাজে সমস্যা তৈরি করছে।”
একই হাল বহরমপুর লাগোয়া সারগাছি থেকে নদিয়ার বাহাদুরপুর পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের। ভোগান্তির শেষ নেই নিত্যযাত্রীদের। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির নদিয়ার প্রকল্প আধিকারিক দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কারের জন্য ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ শুরু করতে পারছে না ঠিকাদার সংস্থা।
বেহাল কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়ক।—নিজস্ব চিত্র।
বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে নিমতলা পর্যন্ত রাস্তাও দেখভালের অভাবে বেহাল। শহরের ব্যস্ততম ওই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী লরি যাতায়াতে পিচের চাদর উঠে গিয়ে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। খারাপ অবস্থা বানজেটিয়া সরকারি আবাসন ও বানজেটিয়া বন দফতর সংলগ্ন রাস্তার। টানা বৃষ্টিতে ওই খানা-খন্দে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় রাস্তা ছোট-খাটো পুকুরে পরিণত হয়েছে। নিত্যযাত্রী ছয়ঘরি গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা প্রীতি কাজি বলেন, “অবিলম্বে ওই রাস্তা সংস্কার করা প্রয়োজন। যাতায়াত করা অসহ্য হয়ে উঠেছে।”
সাত দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিআরজিএফ (ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্র্যান্ট ফান্ড) প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাননতলা মোড় থেকে লালগোলা পর্যন্ত ২৪ কিমি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর (বহরমপুর ডিভিশন-২)। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’কিমি থেকে ১২ কিমি, ১২-১৫ কিমি, ১৮-১৯ কিমি, ২০-২২ কিমি, ২৪-২৭ কিমি, ৩৭-৩৮ কিমি, ৪০-৪৩ কিমি, ৪৬-৪৭ কিমি পর্যন্ত মোট ২৪ কিমি রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। নির্বাহী বাস্তুকার বলেন, “ওই ২৪ কিমি রাস্তার বাইরের অংশের রাস্তা সংস্কারের কাজ স্টেট হাইওয়ে এবং বিএডিপি-র আওতায় করা হবে।”
চেম্বার অফ কমার্সের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদ্যোৎ দে বলেন, “বর্ষায় জাতীয় সড়কের হাল খুব খারাপ। ফলে সাধারণ যাত্রী থেকে ব্যবসার কাজে যাঁরা নিয়মিত কলকাতা যাতায়াত করে থাকেন, তাঁরা বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন।” জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক রথীন মণ্ডল বলেন, “দেবগ্রামের পরে কিছুটা অংশ, ধুবুলিয়া থেকে জাগুলিয়া পর্যন্ত রাস্তার অংশ যাতায়াতের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এ জন্য বহরমপুর-কলকাতা রুটের বাসের যাত্রী সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। বসার আসন পাচ্ছে না, তা সত্ত্বেও ঠাসাঠাসি করে একশ্রেণির যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.