বৈঠক অণ্ণা-অনুগামীদের
রামদেবের মঞ্চে হাজির রাজনীতিকরা
কালো টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন রামদেব। রামলীলা ময়দান থেকে দেশ জুড়ে ‘বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন তিনি। এ দিন রামদেবের মঞ্চে প্রথম দেখা গিয়েছে রাজনীতিকদের। “রাজনৈতিক মেরুকরণ” শুরু হয়ে গিয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে রামদেব শিবির।
কালো টাকা দেশে ফেরত আনা, শক্তিশালী লোকপাল ও দুর্নীতি রোধের দাবিতে রামলীলা ময়দানে অনশনে বসেছেন রামদেব। তাঁর দাবি মেটাতে কেন্দ্রকে রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই সময়সীমাকে পাত্তা দেয়নি সরকার। রামদেবের প্রশ্ন, যদি কেন্দ্র বা কংগ্রেসের কোনও নেতার কালো টাকা বিদেশে না থাকে তবে সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের আপত্তি কোথায়। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠিও লিখেছেন রামদেব। তাতে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সততা নিয়ে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, কালো টাকা বা দুর্নীতি নিয়ে পদক্ষেপ না করলে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
আজ রামদেবের মঞ্চে হাজির ছিলেন বিজেডি সাংসদ রবি মহাপাত্র ও নির্দল প্রার্থী ইন্দর সিংহ নামধারী। রামদেব শিবিরের দাবি, অনেক বড় মাপের নেতা রামলীলা ময়দানে আসবেন। আজ মঞ্চে ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ ও অণ্ণা হজারের অনুগামী কিরণ বেদীও। কালো টাকা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায় সরকারের সমালোচনা করেন বেদীও। অণ্ণার অন্য কোনও অনুগামীকে অবশ্য রামদেবের মঞ্চের আশপাশে দেখা যায়নি।
রামদেবের অনশন মঞ্চে উপস্থিত প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংহ। ছবি: পি টি আই
তবে রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আজ বৈঠকে বসেছিলেন বেদী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রশান্ত ভূষণ-সহ অণ্ণার বেশ কয়েক জন অনুগামী।
রাজনীতির জগতে পা রাখা নিয়ে মতভেদ আছে অণ্ণা অনুগামীদের মধ্যে। এই পদক্ষেপ সমর্থন করেননি প্রাক্তন বিচারপতি সন্তোষ হেগড়ে-সহ বেশ কয়েক জন। আজ অবশ্য এই বিষয়ে সব বিতর্ক থামাতে চেয়েছেন কেজরিওয়াল ও বেদি। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, অণ্ণা যদি দল গঠন সমর্থন না করেন তবে এখনই সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, অণ্ণাকে জোর করে রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত সমর্থন করানো হয়েছিল বলে অপপ্রচার চলছে। এটা একেবারেই অবাস্তব। অণ্ণার রাজনৈতিক বোধ প্রখর। তাঁর উপর অন্য কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।
এক পা এগিয়ে বেদী জানিয়েছেন, দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলন শেষ হয়ে যাচ্ছে না। অণ্ণা জানিয়েছেন, কেউ যদি রাজনীতিতে যেতে না চান তিনি ওই আন্দোলনের সঙ্গেই যুক্ত থাকতে পারেন। বেদীর বক্তব্য, এই মুহূর্তে এই দু’টি পদক্ষেপেরই প্রয়োজন রয়েছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে , দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারেন অণ্ণা অনুগামীরা। ইতিমধ্যেই রাজধানীর ৫০টি নির্বাচন কেন্দ্রে কাজ শুরু করতে স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.