পরীক্ষার ফলে ভুল কমানো, হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়া-সহ বিভিন্ন দাবিতে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধমান রাজ কলেজ স্টাডি সেন্টারে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় কয়েকশো ছাত্রছাত্রী। রবিবার দুপুরের ঘটনা। প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রথমে স্টাডি সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। পরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সন্তু ঘোষের হস্তক্ষেপে স্মারকলিপি নেওয়া হয়। রাজ কলেজ স্টাডি সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জগবন্ধু নন্দী বলেন, “ওঁরা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আগামীকালই আমি সেটি নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দেব।” তবে ছাত্রছাত্রীদের জানানো অভিযোগগুলি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
সন্তুবাবুর দাবি, “এত দিন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কোনও নিজস্ব ইউনিয়ন ছিল না। তাই বেশ কিছু ন্যায্য দাবি তাঁরা জানাতে পারেননি। এ দিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ওই পড়ুয়াদের নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করা হয়েছে। নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জেলায় অবস্থিত মোট ১১টি স্টাডি সেন্টারের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আমরা ওঁদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানাতে সাহায্য করব।”
বিক্ষোভকারীদের দাবি, “কিছু দিন আগে ‘ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি সায়েন্স’-এর পরীক্ষার্থীদের এক সঙ্গে পার্ট-১ ও পাট-২ পরীক্ষা দিতে হয়। এই পাঠ্যক্রেমের ফল প্রকাশে দেরির অভিযোগ তুলে মাস কয়েক আগেও পরীক্ষার্থীরা রাজ কলেজ স্টাডি সেন্টারে ভাঙচুর করেন।” তার পরেও পরিস্থিত বদলায়নি বলে অভিযোগ।
সদ্য গঠিত নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিটের দুই আহ্বায়ক চন্দন দত্ত ও খোন্দকার মহম্মদ হেদায়েতুল্লাহের অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন ধরেই নানা সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছি। অন্য জেলার স্টাডি সেন্টারগুলি যেখানে হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিচ্ছে, সেখানে আমাদের পরীক্ষা দিতে যেতে হচ্ছে হুগলির চন্দননগর বা বাগাটিতে এবং আসানসোলে। হয়রান হচ্ছেন পড়ুয়ারা।”
তাঁদের আরও অভিযোগ, পরীক্ষার ফল প্রকাশে এক দিকে যেমন সাত-আট মাস দেরি হচ্ছে, তেমনি মার্কশিটেও অনেক গোলমাল থাকছে। পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা পাশ করছে। কিন্তু যে প্রতিটি পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁকে অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। তা ছাড়া পরীক্ষার আগে জমা দেওয়া অ্যাসাইমেন্টের খাতা পরীক্ষার্থীদের দেখতে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দীর্ঘ দিন ধরেই তা মানা হচ্ছে না।”
রাজ কলেজ স্টাডি সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, হোমের বদলে ‘অ্যাওয়ে সেন্টার’ করার নিয়ম দীর্ঘ দিনের পুরনো। পরীক্ষা যাতে ঠিক মতো নেওয়া যায়, স্টাডি সেন্টারের বিরুদ্ধে যাতে পরীক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনে মদত দেওয়ার অভিযোগ না ওঠে, তাই এই নিয়ম করা হয়েছে। তবে ফল প্রকাশ দেরি ও মার্কশিটে ত্রুটির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
জল সরবরাহ বন্ধ। জলের পাইপের বেশ কিছুটা অংশ দুষ্কৃতীরা কেটে নেওয়ায় বুধবার রাত থেকে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে জামুড়িয়ার ইস্ট কেন্দা গয়লাপাড়া এলাকায়। বুধবার রাতে ওই এলাকা থেকে জল সরবরাহের পাইপ লাইন থেকে বেশ কিছুটা পাইপ কেটে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশজুরি কোয়ারি থেকে জল তুলে এলাকায় সরবরাহ করা হয়। চুরির জেরে জল সরবরাহ বন্ধ। |