বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়ে ছিল পুকুরে। সেই পুকুরে স্নান করতে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তিন ভাই-সহ চার জন। চিৎকার শুনে তাদের বাঁচানোর জন্য জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিন ভাইয়ের মা। কিন্তু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই মহিলা ও তাঁর এক ছেলের। শনিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার দক্ষিণ কাউকেপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সাহিদা বিবি (৪০) ও জুলফিকার মোল্লা (১২)। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম তিন বালক-বালিকা এবং এক যুবককে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
দুর্ঘটনাস্থল। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় বৃষ্টি পড়ছিল। তার মধ্যেই দুপুর একটা নাগাদ জুলফিকার তার ভাই আবুজার মোল্লা, জেঠতুতো ভাই বাপন আলি মোল্লা এবং প্রতিবেশী সুমাইয়া পরভিনকে নিয়ে বাড়ির সামনের পুকুরে স্নান করতে নামে। আগে থেকেই একটি বিদ্যুৎবাহী তার ছিড়ে পড়েছিল ওই পুকুরে। কেউই তা খেয়াল করেনি। জলে নামামাত্র চার জনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাদের চিৎকারে জুলফিকারের মা সাহিদা বিবি চলে আসেন। জুলফিকারদের বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দিলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সেই সময়ে পুকুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা সাহিদুল মোল্লা নামে এক যুবক। অবস্থা দেখে সকলকে বাঁচাতে তিনিও পুকুরে ঝাঁপ দেন। এর পরেই সকলের চিৎকারে জড়ো হয়ে যান গ্রামবাসীরা। ট্রান্সফর্মার থেকে তাঁরা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জুলফিকারের। বাকিদের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা সাহিদা বিবিকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে কলকাতার আর জি কর স্থানান্তরিত করানো হয় আবুজারকে। |