কলেজে সংঘর্ষ, আহত তিন ছাত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
পোস্টার মারাকে কেন্দ্র করে তিনটি ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শনিবার তেতে ওঠে দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড় শহিদুল্লা মহাবিদ্যালয়। আহত হন তিন ছাত্র। তাঁদের স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কাল, সোমবার তিনটি সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএফআই, ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কলেজে এই তিনটি সংগঠনের মধ্যে নানা কারণে কয়েক দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় রয়েছে ছাত্র পরিষদ। শনিবার কলেজের দেওয়ালে এসএফআইয়ের একটি পোস্টারের উপরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে আর একটি পোস্টার সাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। এ থেকেই গোলমাল বাধে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কলেজে কিছু ‘বহিরাগত’কেও আনা হয় বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ। গণ্ডগোলের সময়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘বহিরাগত’রা ছাত্র সংসদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা অভিযোগ, ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে। গোলমালে এসএফআইয়ের দু’জন এবং তৃণমূলের এক জন আহত হন। অধ্যক্ষা সুদেষ্ণা বিশ্বাস বলেন, “সম্প্রতি কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। এ থেকে সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে সহ সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
|
আরামবাগে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার আরামবাগের সালেপুরের জেলেপাড়ায় এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ হল। ওই নাবালিকার পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বও নিল প্রশাসন। আজ, রবিবার একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তার পরিবারের লোকজন। পাত্র হরিপালের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। শনিবার সকাল থেকেই ওই ছাত্রীর বাড়িতে চলছিল বিয়ের তোড়জোড়। স্থানীয় লোকজনের থেকে সেই খবর পান আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। তাঁর নির্দেশে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিরাম ঘোড়ুই এবং আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। বোঝানো হয় ওই নাবালিকার মা-বাবা ও পাত্রপক্ষকেও। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “ওই নাবালিকার পরিবার বিপিএল তালিকাভুক্ত। তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রশাসন।” মহকুমাশাসকের এই আশ্বাসে খুশি ওই নাবালিকা। সে বলে, “বাবা-মায়ের একটু দুঃখ হল ঠিকই। কিন্তু বিয়ে হলে ভবিষ্যতে যে নানা সমস্যা হতে পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসন বুঝিয়েছে। আমার পড়াশোনার আর কোনও বাধা রইল না। সরকারি সাহায্য পাব জেনে ভাল লাগছে।” দিনমজুরি করে সংসার চালান বছর ষোলোর ওই নাবালিকার বাবা। দারিদ্রের কারণেই তিনি মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। প্রশাসনের কর্তাদের কথা শোনার পরে তিনি বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। শিক্ষক-পাত্র মেলায় মেয়ের বয়স নিয়ে ভাবিনি। এখন বুঝতে পারছি, বড় অন্যায় করে ফেলছিলাম।” পাত্রের দাবি, তিনি পাত্রীর বয়সের কথা জানতেন না।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া |
এক গ্রামবাসীর বাড়িতে চড়াও হতে গিয়ে গণপ্রহারে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। শুক্রবার রাতে বাদুড়িয়ার পুঞ্জি গ্রামের ঘটনা। তবে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিহতের নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ দরজা ভেঙে ওই গ্রামের চাষি নয়ন মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় বছর চল্লিশের ওই দুষ্কৃতী। নয়নবাবু তাকে ধরে ফেলেন। ওই দুষ্কৃতী কোনও মতে নয়নবাবুর হাত ছাড়িয়ে পালাতে থাকে। কিন্তু নয়নবাবুর চিৎকারে চলে আসেন গ্রামবাসীরা। ধাওয়া করে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলেন। তার পরেই শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ওই দুষ্কৃতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
|
মধ্যমগ্রাম বাদু রোডে বাসের ধাক্কায় শনিবার দুপুরে এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। তাঁর নাম কিসমত আলি (৩২)। দুর্ঘটনার পরে ঘাতক বাসটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসের চালক পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টার কিছু পরে বাগবাজার-খড়িবাড়ি রুটের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ার বাসিন্দা ওই সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিসমত আলির।
|