ঝড়খণ্ডে মাওবাদীদের আঁতুড়ঘর সারান্ডায় শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার মাওবাদী-সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের শক্ত ঘাঁটি খুঁটি, লোহারডাগা ও লাতেহারেও গ্রামোন্নয়নের কর্মযজ্ঞ জোরদার করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ।
খুঁটি এবং লোহারডাগা জেলায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে দু’দিনের সফরে আজ সকালে রাঁচিতে আসেন রমেশ। রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনার পর বিশাল নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে সপার্ষদ রমেশ খুঁটি রওনা দেন। উগ্রপন্থী প্রভাবিত খুঁটির মারু, বিরহু এবং ঘাগরাএই তিনটি অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের কাজকর্ম কেমন চলছে ঘুরে দেখেন তিনি। পাশাপাশি, আধিকারিকদের সঙ্গে কাজের সমস্যা এবং অগ্রগতি নিয়েও সবিস্তার পর্যালোচনা করেন। দুপরে রাঁচিতে ফিরে আসেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশিত না-হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। খুঁটির ঘাগরা, বিরহু এবং মারুএই তিনটি অঞ্চলেই গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের কাজে গতি বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন রমেশ। |
রাঁচির কাছে খুটিতে চাষের ফলন দেখছেন জয়রাম। শনিবার। ছবি: পি টি আই |
মধ্যাহ্নভোজ সেরে রাঁচিতে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতর সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্র এবং রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীদের মধ্যে মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চল-সহ ঝাড়খণ্ডের জেলা ভিত্তিক গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষত ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রদান প্রকল্প রূপায়ণের কাজকে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় শীর্ষে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একই সঙ্গে ওই দুটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে গতি বৃদ্ধির কথাও বলেছেন রমেশ। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলির কতটা রূপায়িত হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে আগামিকাল রমেশ যাবেন লোহারডাগা জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গেও এই বিষয়ে রমেশের বৈঠক হওয়ার কথা। |